খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  বিচার বিভাগকে ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে : ড. ইউনূস
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৩৮৯
  পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকেও আমরা ভারত থেকে ফেরত চাইব : প্রধান উপদেষ্টা

কেশবপুরে সিজারের পর রোগীর মৃত্যু

কেশবপুর প্রতিনিধি

কেশবপুরে সিজারের পর শম্পা খাতুন নামে রোগীর মৃত্যু অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার ক্রিস্টাল ডায়গনস্টিক এন্ড হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। মৃত. শম্পা খাতুন হাসাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।

ক্রিস্টাল ডায়গনস্টিক এন্ড হাসপাতালের ম্যানেজার শফিকুর রহমান জানান, জুয়েল নামে এক ব্যক্তি ২ দিন আগে রোগী শম্পা খাতুনকে হাসপাতালে ভর্তি করে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রোগীটি সিজার করার ২ ঘন্টা পর তার খারাপ অবস্থা দেখা দেয়। পরে রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় পাঠানো হয়। কিন্তু পথিমধ্যে রোগীটি মারা যায়। তবে, রোগীর স্বজনদের দাবি ক্রিস্টাল ডায়াগনস্টিক এন্ড হাসপাতালের মধ্যেই রোগীটি মারা গেছে।

নিহতের স্বামী শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, ডাক্তারের অবহেলার কারণে আমার স্ত্রী মারা গেছে।

এ বিষয়ে কেশবপুর থানা হেলথ অফিসার (টিএইচও) ডা. আলমগীর হোসেন বলেন, রোগীটির অপারেশন করবার সময় ক্রিস্টাল ডায়গনস্টিক এন্ড হাসপাতালের যাবতীয় নিয়ম-কানুন মেনেই তারা অপারেশন করেছিল এবং এই সিজার রুগীর অপারেশন ছিল তৃতীয় স্টেপ। সেখানে এনেসথেসিয়া ডাক্তার অপারেশনের করার সময় উপস্থিত ছিলেন। আমার জানা মতে পোস্ট একলামশিয়া হলে এই রোগী বাঁচানো খুব কঠিন হয়ে যায়।

এ ঘটনায় কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন ডাক্তার আহসানুল মিজান রুমি, ডাক্তার আয়েশা আক্তার এবং ডাক্তার তুহিন পারভেজ জুয়েল।

তিনি সিভিল সার্জনকে অবহিত করে ক্রিস্টাল ডায়াগনস্টিক এন্ড হাসপাতালের যাবতীয় অপারেশন বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!