যশোরের কেশবপুরে ব্রাহ্মণডাঙ্গা (কমলাপুর) গ্রামের শত বছরের দখলে থাকা সরকারি রেকর্ডের রাস্তাটি দখল মুক্ত করে মানুষের চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে সংস্কার করছে ইউপি মেম্বার আব্দুল হালিম।
কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ব্রাহ্মণডাঙ্গা (কমলাপুর) গ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে আসাদ মোড়লের বাড়ি হতে হাজী মকবুলের বাড়ি পর্যন্ত বিলের ধার দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রিটিশ শাসন আমলে শাসকরা চলাচল করতো। ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর পাকিস্তান সরকারের আমলে স্থানীয় জনগনের দখলে চলে যায় রাস্তাটি। সেই থেকে বর্তমান ওই এলাকার আমজাদ, মকবুল, মশিয়ার, রুহুল আমিন, ইসমাইল হোসেন, মতিয়ার রহমান, দ্বীন আলী বিশ্বাস, মঞ্জুর রহমান, গোলাম মোস্তফাসহ অনেকেই রাস্তা জমি দখল করে ভোগ করে আসছিলো। যার কারণে স্থানীয় গ্রামবাসীর বিল এলাকায় চলাচলের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে দীর্ঘদিন। রাস্তাটি উদ্ধারের জন্য অনেকেই বহুবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে।
পাঁজিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি মেম্বার আব্দুল হালিম বলেন, রাস্তাটি দীর্ঘদিন এলাকাবাসির দখলে ছিলো। গত মেয়াদকালে গ্রামবাসীর স্বার্থে রাস্তাটি দখল মুক্ত করতে যেয়ে দখলদারদের প্রতিরোধের মুখে ব্যর্থ হয়েছিলাম। এলাকার ভোটারদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে দ্বিতীয় মেয়াদে ইউপি মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর ১শ’ বছর দখলে থাকা সরকারি রেকর্ডিও রাস্তাটি দখল মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ নং রাজনগর বাঁকাবর্শি ও ৮ নং ব্রাহ্মণডাঙ্গা (কমলাপুর) ওয়ার্ডের কর্মসৃজন কর্মসূচীর ২৬ জন লেবারের সাহায্যে প্রতিদিন মাটি দিয়ে রাস্তা তৈরীর কাজ করানো হচ্ছে।
এলাকার কৃষক বাবার আলী বলেন, এই রাস্তার জন্য আমরা খুব সমস্যায় ছিলাম। এখন এই গ্রামের শত পরিবারের মানুষের চলাচলে খুব সুবিধা হবে। আমরা খুব খুশি হয়েছি।
গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে সাতাশকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী জেরিন সুলতানা বলেন, রাস্তাটি দখল মুক্ত হওয়ার কারণে আমাদের ও এলাকাবাসীর খুব উপকার হবে। আমরা খুব আনন্দিত হয়েছি।
পাঁজিয়া ইউনিয়ন ভূমি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আমজাদ হোসেন জানান, বহুদিন যাবত রাস্তাটি দখল মুক্ত করতে যেয়ে বাঁধার মুখে ফিরিয়ে আসতে হয়েছে। প্রায় ১শ’ বছর দখলে থাকা সরকারি রেকর্ডিও রাস্তাটি এইবার দখল মুক্ত করা হয়েছে। যার কারণে বিল এলাকার শত শত কৃষকের চলাচলের জন্য খুব উপকার হবে। ভবিষ্যতে এই এলাকায় জনবসতি গড়ে উঠবে। তাদেরও সুবিধা হবে।