যশোরের কেশবপুরে রাসেল হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে মুক্তি পাওয়া পরে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাদের হুমকিতে নিরাপত্তাহিনতায় ভুগছেন বাদী পরিবারের সদস্যরা।
কেশবপুর পৌরসভার সাবদিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদ মোড়লের পুত্র মোঃ রাসেল হোসেন একজন ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক। ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় বাসা থেকে বেরিয়ে আর না ফিরে আসায় তার স্ত্রী তাকে ফোন করে মোবাইলটা বন্ধ পাওয়ায় তারা খোজাখুজি করতে থাকে। ১৭ আগস্ট চিংড়া গ্রামের ডেপার বিলে তার রক্তাক্ত মৃত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার পিতা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের নামে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। যার নং ০৩/১১৭, তারিখ ১৮/০৮/২০২১।
যশোর জেলা গোয়েন্দা বিভাগ তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সুত্র ধরে উপজেলার হাসানপুর গ্রামের হোসেন আলীর পুত্র শহিদুল ইসলাম (৩৮) এর নিকট মোবাইলটি বিক্রি করে হাসানপুর গ্রামের উত্তর পাড়ার আব্দুর রহমান সরদারের পুত্র মোঃ মাসুদ হোসেন (১৯)। গোয়েন্দা বিভাগ শহিদুল ইসলামের সহযোগিতায় মাসুদ হোসেনকে ২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর দুপুরে আটক করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের আব্দুর রউফ মোড়লের পুত্র অহিদ হাসান (১৯) কে আটক করেন একই দিনে গোয়েন্দা বিভাগ। তাদের জিজ্ঞেসা বাদে হত্যা কাজে ব্যবহৃত দুইটি চাকুর মধ্যে একটি হাসানপুর বাজারে আসামির মাংস ব্যবসায়ীর দোকানের টেবিলের ড্রয়ার থেকে উদ্ধার করেন।
ধৃত আসামীদয়ের ফৌজদারী কায্যবিধির ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে তারা রাসেল হোসেনকে হত্যার কথা স্বীকার করে। তাদের জামিনে বিরোধিতা করে আদালতে সপোর্দ করে। আসামিরা বিজ্ঞ আদালতে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর মামলা প্রত্যাহার করতে বিভিন্ন প্রকার ষড়যন্ত্র করতে থাকে।
রাসেল হোসেন হত্যার বাদী তার পিতা আব্দুল মজিত মোড়ল সাংবাদিকদের বলেন, আসামিরা জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চলেছে। বর্তমানে তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।