কেশবপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক পরিবারের শিশুসহ ৩ জন আহত হয়ে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি নাজমা আক্তার লাখি সাংবাদিকদের জানান, প্রতিবেশী ফজলুর রহমান বাবু বাশিয়ারের সাথে বসতবাড়ির ১ শতক জমি নিয়ে তাদের দীর্ঘ দিনের বিরোধ চলে আসছে। তারা তাদের এক শতক জমি জোর করে দখল করে সীমানা প্রাচীর দিয়ে বাথরুম তৈরী করে দখল করে আছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ফজলুর রহমান বাবু বাশিয়ার নিজে তার সীমানা প্রাচীর, বাথরুম ও ঘরের জানালা ভেঙে প্রতিপক্ষ মিঠু বাশিয়ারদের নামে থানায় মিথ্যা হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ করেন। সোমবার সকালে মিঠু বাশিয়ার বাড়িতে না থাকায় ফজলুর রহমান বাশিয়ার নেতৃত্বে তার স্ত্রী তাসলিমা খাতুন, মেয়ে সুমি খাতুন, উর্মী খাতুন মিলে মিঠু বাশিয়ারের স্ত্রী নাজমা আক্তার লাখি (২৮), মাতা আনোয়ারা বেগম (৫৪) ও ছেলে নাইমুল হাসান (১২) কে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে আহত করে। তাদেরকে উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
মিঠু বাশিয়ার জানান, প্রতিবেশীর সাথে জমি নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিরোধে স্থানীয় এমপি শাহিন চাকলাদারের নিকট গত ৩০ জানুয়ারি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। তাছাড়া কেশবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান, কেশবপুর থানা অফিসার ইনচার্জ, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। তাদের হামলার ভয়ে স্ত্রী নাজমা আক্তার লাখি কেশবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে যার নং- ৪৮৪, তাং- ২০/১১/২০২০। তাছাড়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলাউদ্দীন অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের পক্ষে ২০/০৯/২০২০ তারিখে লিখিত প্রতিবেদন দেন। তারপরও তারা আমাদের জমিটুকু না ছেড়ে দিয়ে উল্টো আমাদের উপর হামলা ও থানায় ভাংচুরের মিথ্যা অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে ফজলুর রহমান বাশিয়ার মুঠো ফোনে জানান, তাদের উপর হামলার ঘটনা সম্পূর্ন মিথ্যা, নাটক ও ষড়যন্ত্র। আমরা তাদের উপর হামলা করিনি।
খুলনা গেজেট/কেএম