যশোরের কেশবপুর ঈদের বাজারে কেনাকাটায় সাধারণ মানুষের ভীড় বেড়েছে। গত দুই বছর পর উৎসবের আমেজ নিয়ে মানুষ ঈদের উৎসবে কেনাকাটায় ফিরেছে।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের এখনো প্রায় ১৫ দিন বাকী। ইতমধ্যে ঈদের বাজারে সাধারণ মানুষের কেনাকাটায় ভীড় বেড়েই চলেছে। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি আতংকে গত দুই বছরে ঈদের বাজারে উৎসবের কোনো আমেজ ছিলো না। দেশের মানুষ করোনা মহামারিকে মোকাবেলা করে বিজয়ের বেশে আবারও সভাবিক কর্মচাঞ্চলতায় ফিরেছে। এ যেন চিরোচেনা পরিবেশ। গত দুই বছর পর মানুষ ঈদুল ফিতরের উৎসবের আমেজে সাভাবিক ভাবে ফিরে এসেছে। যার কারণে ঈদের বাজারে সাধারণ মানুষের ভীড় বেড়েই চলেছে।
রোববার কেশবপুর পৌর শহরের বিভিন্ন শপিংমল ঘুরে দেখা গেছে ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটায় শিশু সন্তানদের সাথে নিয়ে নারী-পুরুষের ভীড় বাড়ছে।
কেশবপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে বোরো ধান আবাদের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ঈদুল ফিতরের উৎসব চলাকালে মানুষ তাদের কষ্টে অর্জিত বোরো ধান সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। তাই ঘরের মহিলারা আগেভাগে শিশুদের সংগে নিয়ে ঈদের কেনাকাটার দিকটায় সামলিয়ে নিতে ঈদের কেনাকাটার বাজারে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। শহরের নারী-শিশুদের ব্যাপক উপস্থিতি মানুষ যেন করোনার বন্দি দশা থেকে মুক্তি পেয়েছে।
কেশবপুর পৌর শহরের মধুসূদন সড়কের সবুজ গার্মেন্টসের মালিক বলেন, এবছর ঈদের বাজার আগে ভাগে জমে উঠেছে। বিশেষ করে মেয়ে ও শিশু সন্তানদের জামাকাপড়ের চাহিদা বেশি।
মধুসূদন সড়কের ভাই ভাই ভ্যারাইটস স্টোরের মালিক মশিয়ার রহমান বলেন, ঈদের কেনাকাটার বাজারে জামা কাপড়ের পাশাপাশি কসমেটিক্স প্রশাধনীর চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়েছে।
কেশবপুর পৌরসভা সড়কের ফ্যাশাণ জোনের বিক্রেতা সিফাতই-আরা বলেন, তার দোকানে সব শ্রেণির মেয়ে শিশুদের জামা কাপড়ের চাহিদা বেশি।
সম্রাট সু এর কেশবপুরের ডিলার কার্তিক চন্দ্র বলেন, এবছর ঈদের বাজারে সাধারণ মানুষের কেনাকাটা আগেভাগে শুরু হয়ে গেছে। গত দু’বছর দেশে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পাড়ার কারণে দেশে লকডাউন চলাকালে মানুষের মাঝে ঈদের কেনাকাটার বাজারে কোনো আমেজ ছিলো না। বর্তমানে দেশে করোনা মহামারি না থাকায় মানুষ ঈদের উৎসবে ফিরে এসেছে। ঈদের প্রায় ১৫ দিন বাকী থাকলেও ঈদের বাজার আগেভাগে জমে উঠেছ। এখন সাধারণ মানুষের ভীড় বাড়ছে। ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসবে ঈদের বাজারে মানুষের ভীড় ততই বেড়ে যাবে। তবে সব শ্রেণির মানুষের জুতার চাহিদা রয়েছে।