একাত্তর সালে কপিলমুনি যুদ্ধের একজন ফযর আলী ঢালী। তিনি পাইকগাছা মুনকিয়া গ্রামের সন্তান। ফজর ঢালী ৯৬ বছর বয়স্ক বৃদ্ধ। লাঠি হাতে ধীর পায়ে ছুটে এসেছেন আজকের কপিলমুনি মুক্ত দিবস অনুষ্ঠানে।
ফযর আলীর কমান্ডার ছিলেন অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। এই বীর যোদ্ধা ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। যুদ্ধ করেছেন বিভিন্ন স্থানে। সেদিন তার বয়স ছিল ৪৬ বছর। শক্তিশালী মানুষ। একাত্তরে স্বপ্ন ছিল দেশকে শত্রুমুক্ত করার। রাইফেল হাতে নিয়ে কাটিয়েছেন গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীতকালের দিনগুলো। অবস্থান করেছেন ক্যাম্পে। যুদ্ধ করেছেন রাজাকারদের বিরুদ্ধে। কপিলমুনি যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে যেয়ে তিনি বলেন, বিনোদ বিহারীর বাড়িতেই ছিল রাজাকার ক্যাম্প।
কমান্ডার অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে পূর্ব দিক থেকে এসে রাজাকার ক্যাম্পে আক্রমণ করি। দিনরাত যুদ্ধ চলে। তিনদিন পর রাজাকাররা আত্মসমর্পন করে। স্থানীয় মানুষ জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে কপিলমুনি সহচরী বিদ্যা মিন্দর প্রাঙ্গনে এসে রাজাকারদের বিচার দাবি করেন। একশ’ একান্ন জন রাজাকারের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়। যুদ্ধ চলাকালীন দু’দিন পেটে ভাত যায়নি বলে তিনি বর্ণনা করেন। আজও সেই স্মৃতি তিনি বয়ে বেড়ান। সহযোদ্ধাদের সাথে সাক্ষাৎ করতে তিনি কপিলমুনি মুক্ত দিবসের অনুষ্ঠানে আসেন।
উল্লেখ্য, কপিলমুনি মুক্ত দিবস উপলক্ষে স্থানীয় সহচরী বিদ্যামন্দির প্রাঙ্গনে আজ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। বিকেল চারটার পর থেকে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন। ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগ নেতা আনিসুর রহমান মুক্ত বক্তৃতা করেন। এ পর্যন্ত বক্তৃতা করেন হিমেশ চন্দ্র মন্ডল, প্রভাষক মইনুল ইসলাম, শেখ ইকবাল হোসেন খোকন, রিপন কুমার মন্ডল, কেএম আরিফুর জামান তুহিন, সিহাব উদ্দিন ফিরোজ বুলু প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন