খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক অভিযোগ করেছেন কেডিএ ও কেসিসি’র সমন্বয়ের অভাবে নগরীর উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। কেডিএ রাস্তা নির্মাণ করার পর সংস্কারের জন্য অর্থ না থাকায় দূরাবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। একনেকে পাশ করা প্রকল্প বাস্তবায়ন না হলে ছয় মাস পর এসব সংস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামব।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় প্রেসক্লাবে কেসিসি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, কেডিএ সোনাডাঙ্গা, নিরালা, দৌলতপুর, ফুলবাড়ীগেট সহ মোট ৫টি আবাসন প্রকল্প করলেও পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা রাখেনি। নিরালায় রেকর্ডীয় খাল বন্ধ করায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। ১৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ময়ুরী আবাসিক প্রকল্প গড়ে তুললেও সেখানে একই অবস্থা।
তিনি বলেন, ১৯৬১ সালে কেডিএ স্থাপিত হওয়ার পর নতুন বাজার, নিউ মার্কেট এবং সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ করেছে। এগুলো কেসিসি’র কাছে হস্তান্তরের সরকারী সিদ্ধান্ত থাকলেও বাস্তবায়িত হচ্ছে না।
তিনি বলেন, কেডিএ’র প্রকল্প অপরিকল্পিতভাবে বাস্তবায়নের ফলে নগর জীবন ব্যাহত হচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা ড্রেন পরিস্কার করে মশা নিধন করা, অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে খাল উচ্ছেদ করে পানি নিষ্কাসন সহজতর করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনায় রাস্তাঘাট উন্নয়নে ৬০৭ কোটি এবং ড্রেন নির্মাণে ৮২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। নগরবাসীর উন্নয়নে আমরা তা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুন অর রশিদ, কেসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী এজাজ মোর্শেদ চৌধুরী, কাউন্সিলর আলী আকরব টিপু, আমিনুল ইসলাম মুন্না, মেমরী সুফিয়া রহমান সুনু, নির্বাহী প্রকৌশলী খান মশিউর রহমান, লিয়কত আলী খান উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/কেএম