২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঋণ নির্ভর, অদূরদর্শী এবং বাস্তবায়নের অযোগ্য বলে মন্তব্য করেছে ১২ দলীয় জোট। বৃহস্পতিবার(৬ জুন) বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে ১২ দলীয় জোটের নেতারা এ মন্তব্য করেন।
বাজেটকে জনকল্যাণহীন বলে আখ্যায়িত করে জোট নেতারা বলেন, জনরায়হীন একটি অবৈধ সরকারের বাজেট কখনোই জনগণের কল্যাণে আসতে পারে না। রাজস্ব আহরণের ঘাটতির ফলে সরকারকে অতিমাত্রায় বিদেশি ও আভ্যন্তরীণ ঋণের ওপর নির্ভরশীল বাজেট প্রণয়ন করতে হয়েছে। ১২ বিলিয়ন ডলার ঋণের ওপর সুদ পরিশোধ করতে হবে। যা প্রস্তাবিত বাজেটের রাজস্ব আয়ের এক-তৃতীয়াংশ। বর্তমানে দেশে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ এক লক্ষ ৬০ হাজার ছুই ছুই করছে। প্রস্তাবিত বাজেটে বিশাল ঘাটতি পূরণের কেন দিক-নির্দেশনা নেই।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ঋণ ও ঘাটতি ভিত্তিক এত বড় বাজেট আগেও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এবারও সম্ভব হবে না। আর্থিক খাতের সংস্কার ও দুর্নীতি, হরিলুটের অপ্রয়োজনীয় মেগা প্রকল্পের ব্যয় কমানোর কোন উদ্যোগ এই সরকার গ্রহণ করেনি।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের মত মহা দুর্নীতিবাজ তৈরিতে ও পৃষ্ঠপোষকতায় এই অবৈধ দুর্নীতিবাজ সরকার কালো টাকা সাদা করার বিধান রেখেছে এই বাজেটে। আর কুইক রেন্টালের ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ সরকার বছরে ৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে থাকে।
আওয়ামী লীগ ও লুটেরাদের পকেট ভারি করার লক্ষ্যে গরিবের পকেট কাটা হচ্ছে এই বাজেটে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বায়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ সভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব ও বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম।
খুলনা গেজেট/এএজে