খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  বিচার বিভাগকে ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে : ড. ইউনূস
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৩৮৯
  পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকেও আমরা ভারত থেকে ফেরত চাইব : প্রধান উপদেষ্টা

উপকূলের জেলে পরিবারে খাদ্যসংকট

নিজস্ব প্রতিবেদক

উপকূলীয় অঞ্চলের জেলে পরিবারে চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। গত ১ জুলাই থেকে সুন্দরবনের নদ-নদীতে ও বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে জেলেরা। আয় না থাকায় এবং সরকারি সহযোগিতাপ্রাপ্তদের তালিকায় নাম না থাকায় উপকূলের প্রায় অর্ধেক জেলে পরিবার তিন বেলা ঠিকমতো খাবার সংগ্রহ করতে পারছেন না। বেসরকারি সংস্থা কোস্ট ট্রাস্টের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

উপকূলীয় অঞ্চলের খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, পটুয়াখালী জেলার মোট ২৮৪টি জেলে পরিবার থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- স্বাভাবিক অবস্থায় সবচেয়ে বেশি ৪২ দশমিক ৪ শতাংশ জেলে পরিবারেরই মাসিক গড় আয় ৬ থেকে ১০ হাজার টাকা থাকলেও নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন একেবারেই কোনো আয় নেই ৬০ দশমিক ৮ শতাংশ জেলে পরিবারে। ফলে আগে যেখানে তিন বেলা খেতেন ৯৫দশমিক ৮ শতাংশ সেখানে এই সময়ে তিন বেলা খেতে পারছেন ৫১ শতাংশ পরিবার।

গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন জেলে পরিবারগুলোকে সহযোগিতা করতে সরকার ৪৩ কেজি করে চাল দিচ্ছে। কিন্তু সহায়তাপ্রাপ্তদের মধ্যে এই সহায়তা এখনো পাননি ৩৪ দশমিক ২ শতাংশ পরিবার। যারা পেয়েছেন তাদের অর্ধেক আবার সেটা পেয়েছেন নিষেধাজ্ঞা শুরুর প্রায় এক মাস পরে। অন্যদিকে, ৪০ শতাংশ জেলের নাম এই সরকারি সাহায্যপ্রাপ্তদের তালিকায় ওঠেনি, ফলে তারা কিছুই পাননি। ৬৭ দশমিক ৫ শতাংশ বলেছেন যে এই চাল তাদের সংসার চালানোর জন্য যথেষ্ট নয়, কারণ সংসারের অন্যান্য খরচের জন্য নগদ কোনো সহায়তা নেই এবং ৯৬ দশমিক এক শতাংশ জেলেই এসময়ে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের আওতায় আর কোনো ধরনের সহায়তা পাননি। ফলে সংসারের প্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে সুদের ওপর ধার করেছেন ৭৯ দশমিক ৯ শতাংশ জেলে। আগাম শ্রম বিক্রি করেছেন ৪২ দশমিক এক শতাংশ। মহাজনের কাছে চড়া সুদে ঋণ করেছেন ৪৫ দশমিক ৭ শতাংশ। গবেষণায় আরো দেখা গেছে, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ জেলে পরিবারে পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে এবং ৭২ দশমিক ৬ শতাংশের সংসারে অশান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।

জানা গেছে, সমুদ্রে মৎস্য আহরণ ছাড়া ৯৫ দশমিক ৪ শতাংশ জেলেরই বিকল্প কোনো আয়ের উৎস নেই। তাই গবেষণা প্রতিবেদনে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন জেলেদের জন্য বিকল্প আয় নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া নগদ সহায়তা, সহজ শর্তে ঋণ বা আর্থিক সাহায্য দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, মাছ ধরা নিষিদ্ধকালীন সময়গুলোতে জেলেদের বেশির ভাগই মানবেতর জীবন যাপন করে। তাই শুধু চাল সাহায্য যথেষ্ট নয়, কারণ সংসারের অন্যান্য খরচের জন্য নগদ সহায়তা প্রয়োজন।

উপকূলীয় অঞ্চলের জেলে পরিবারে চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। গত ১ জুলাই থেকে সুন্দরবনের নদ-নদীতে ও বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে জেলেরা। আয় না থাকায় এবং সরকারি সহযোগিতাপ্রাপ্তদের তালিকায় নাম না থাকায় উপকূলের প্রায় অর্ধেক জেলে পরিবার তিন বেলা ঠিকমতো খাবার সংগ্রহ করতে পারছেন না। বেসরকারি সংস্থা কোস্ট ট্রাস্টের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

উপকূলীয় অঞ্চলের খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, পটুয়াখালী জেলার মোট ২৮৪টি জেলে পরিবার থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- স্বাভাবিক অবস্থায় সবচেয়ে বেশি ৪২ দশমিক ৪ শতাংশ জেলে পরিবারেরই মাসিক গড় আয় ৬ থেকে ১০ হাজার টাকা থাকলেও নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন একেবারেই কোনো আয় নেই ৬০ দশমিক ৮ শতাংশ জেলে পরিবারে। ফলে আগে যেখানে তিন বেলা খেতেন ৯৫দশমিক ৮ শতাংশ সেখানে এই সময়ে তিন বেলা খেতে পারছেন ৫১ শতাংশ পরিবার।

গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন জেলে পরিবারগুলোকে সহযোগিতা করতে সরকার ৪৩ কেজি করে চাল দিচ্ছে। কিন্তু সহায়তাপ্রাপ্তদের মধ্যে এই সহায়তা এখনো পাননি ৩৪ দশমিক ২ শতাংশ পরিবার। যারা পেয়েছেন তাদের অর্ধেক আবার সেটা পেয়েছেন নিষেধাজ্ঞা শুরুর প্রায় এক মাস পরে। অন্যদিকে, ৪০ শতাংশ জেলের নাম এই সরকারি সাহায্যপ্রাপ্তদের তালিকায় ওঠেনি, ফলে তারা কিছুই পাননি। ৬৭ দশমিক ৫ শতাংশ বলেছেন যে এই চাল তাদের সংসার চালানোর জন্য যথেষ্ট নয়, কারণ সংসারের অন্যান্য খরচের জন্য নগদ কোনো সহায়তা নেই এবং ৯৬ দশমিক এক শতাংশ জেলেই এসময়ে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের আওতায় আর কোনো ধরনের সহায়তা পাননি। ফলে সংসারের প্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে সুদের ওপর ধার করেছেন ৭৯ দশমিক ৯ শতাংশ জেলে। আগাম শ্রম বিক্রি করেছেন ৪২ দশমিক এক শতাংশ। মহাজনের কাছে চড়া সুদে ঋণ করেছেন ৪৫ দশমিক ৭ শতাংশ। গবেষণায় আরো দেখা গেছে, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ জেলে পরিবারে পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে এবং ৭২ দশমিক ৬ শতাংশের সংসারে অশান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।

জানা গেছে, সমুদ্রে মৎস্য আহরণ ছাড়া ৯৫ দশমিক ৪ শতাংশ জেলেরই বিকল্প কোনো আয়ের উৎস নেই। তাই গবেষণা প্রতিবেদনে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন জেলেদের জন্য বিকল্প আয় নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া নগদ সহায়তা, সহজ শর্তে ঋণ বা আর্থিক সাহায্য দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, মাছ ধরা নিষিদ্ধকালীন সময়গুলোতে জেলেদের বেশির ভাগই মানবেতর জীবন যাপন করে। তাই শুধু চাল সাহায্য যথেষ্ট নয়, কারণ সংসারের অন্যান্য খরচের জন্য নগদ সহায়তা প্রয়োজন।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!