খুলনা মহানগর বিএনপি নেতা ফখরুল আলমের চোখের আলো আস্তে আস্তে নিভে যাচ্ছে। খুলনার চক্ষু বিশেষজ্ঞরা অপরাগতা জানিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু দেশের সব চিকিৎসা ব্যর্থ হওয়ায় বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের `শঙ্কর নেত্রালাই’ চেন্নাই এর উদ্দেশ্য খুলনা ত্যাগ করেছেন।
গত ৫ জানুয়ারি দেশব্যাপী কর্মসূচি পালনকালে সকাল ১১টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে জমায়েত হন খুলনা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পুলিশ কর্মসূচি পালনে বাধা দিলে উপস্থিত কর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করা হলে আকস্মিকভাবে পুলিশ এসে সমাবেশে লাঠিচার্জ করে। বেপরোয়া লাঠিচার্জে তার চোখে প্রচণ্ড আঘাতের কারণে কর্ণিয়া ডিসপ্লেস হওয়ায় ধীরে ধীরে অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়ার প্রতিবাদে ওইদিন আমরা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শুরু করেছিলাম। হঠাৎ খুলনা থানার ওসি মামুনের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক পুলিশ এসে কোনো কারণ ছাড়াই লাঠিচার্জ শুরু করে। ওসি নিজেই বিএনপি নেতা ফখরুল আলমের মাথা লক্ষ্য করে নির্মমভাবে লাঠির আঘাত করে। তিনি রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। কপাল ও বাম চোখ ফেটে রক্তপাত হতে থাকে। খুলনার শীর্ষস্থানীয় সব চোখের ডাক্তার দেখানো হয়েছে। তিনি এখন চোখে দেখতে পারছেন না এবং প্রতিনিয়ত যন্ত্রণা বাড়ছে। এ জন্য উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার খুলনা মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ ফখরুল আলমের সুস্থতা কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিদাতারা হলেন, মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো. তারিকুল ইসলাম জহির, যুগ্ম আহবায়ক কাজী মো. রাশেদ, স ম আব্দুর রহমান, সৈয়দা রেহানা ঈসা, এ্যাড. নুরুল হাসান রুবা, কাজী মাহমুদ আলী, আজিজুল হাসান দুলু, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ আ হ আ