বিদেশ সফরে দলগুলোকে প্রতিপক্ষের থেকে বেশি লড়তে হয় প্রতিকূল আবহাওয়ার বিরুদ্ধে। সেই চ্যালেঞ্জ আরো বেশি ভোগায় বাংলাদেশ দলকে, বিশেষ করে উপমহাদেশের বাইরের সিরিজগুলোতে।
এবার উইন্ডিজ সফরে নিজেদের কাজটা সহজ হবে না টাইগারদের। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে সিরিজ শুরুর আগে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে সফরকারীরা। ১৬ জুন অ্যান্টিগায় শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্টের আগে বাংলাদেশ দলের ভাবনার উদ্বেগ সেখানকার বাতাস।
মঙ্গলবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলছিলেন, ‘কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিচ্ছি। এখানে বাতাসের প্রবাহ থাকবে কিছুটা, বল ঘোরানোর ব্যাপারে অভ্যস্ত হতে হবে আমাদের।’
২০১৮ সালের পর পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে উইন্ডিজ সফরে গেছে বাংলাদেশ দল। দুই দলের মাঠের লড়াই শুরু হবে সাদা পোশাকের ফরম্যাট দিয়ে। যে মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম ম্যাচ, অ্যান্টিগার সেই স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত মাত্র ১টি টেস্টই খেলেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদল। ২০১৮ সালে খেলা সেই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪৩ রানে অলআউট হওয়ার বাজে অভিজ্ঞতা হয় বাংলাদেশ দলের। যা নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে সর্বনিন্ম রানের লজ্জার রেকর্ড হয়ে আছে।
এবার তেমন কোনো অঘটনের সাক্ষী হতে চায় না বাংলাদেশ দল। এজন্য মূল ম্যাচে নামার আগে অনুশীলে কঠোরভাবে নিজেদেরকে ঝালিয়ে নিচ্ছে তারা। অনুশীলনের অংশ হিসেবে ক্রিকেট উইন্ডিজ প্রেসিডেন্টস একাদশের বিপক্ষে তিন দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ মাঠে নেমেছিল সফরকারীরা। যেখানে ব্যাট হাতে ১৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তামিম ইকবাল। ফিফটির দেখা পান নাজমুল হোসেন শান্ত। বল হাতে এবাদত হোসেনের সাথে ঝলক দেখান মুস্তাফিজুর রহমান।
নিজেদের এমন প্রস্তুতি নিয়ে বেশ খুশি রাসেল ডমিঙ্গো, ‘তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচটা যেমন কেটেছে তাতে বলা যায় আমরা খুশি। ব্যাটসম্যান আর বোলাররা ভালো সময় কাটিয়েছে। প্রথম টেস্টের আগে যা আমাদের জন্য মূল্যবান। আমাদের আজকের (মঙ্গলবার) অনুশীলনটা বেশ ভালো ছিল। আমরা এখানে (প্রথম টেস্ট) যে মাঠে খেলব সেখানেই অনুশীলন করাটা ইতিবাচক দিক। ভেন্যু ও উইকেটের প্রকৃতি অনুসারে অনুশীলন দারুণ হচ্ছে।’