একশ, দেড়শ, দুইশ বা আড়াইশ- অধিনায়ক সাকিব আল হাসান অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ দলের সামনে যে দুইটি রাস্তা খোলা থাকার কথা জানান, তার একটি এটি। অর্থাৎ ১০৩ রানে অলআউট হওয়ার পর তাদের লক্ষ্য ছিল ম্যাচ বাঁচাতে উইন্ডিজকে আটকাতে হবে আড়াইশ রানের আশেপাশে। সেই লক্ষ্যে সফলই বলতে হবে টাইগার অধিনায়ক আর তার দলকে।
এক সময় তো মনে হচ্ছিল, সাকিব বিকল্প যে রাস্তার কথা বলেছিলেন- ক্যারিবীয়দের ইনিংস ডিক্লেয়ারের অপেক্ষায় থাকা, সেদিকেই বোধহয় চেয়ে থাকতে হবে সফরকারীদের। কিন্তু পরিকল্পিত বোলিং আর পেসারদের আগ্রাসনে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ দল। স্বাগতিকদের ২৬৫ রানে গুটিয়ে দিয়েছে। তবুও পিছিয়ে থাকতে হচ্ছে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ১০৩ রান টপকে ১৬২ রানের লিডে নিয়েছে উইন্ডিজ।
অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম ইনিংসে হতশ্রী ব্যাটিংয়ের পর গোটা দলের মনোবল ভেঙে যাওয়াটা স্বাভাবিক। তবে উইন্ডিজের পেসাররা যেমন দাপট দেখিয়েছেন, পরে বল করতে নেমে একইরকমভাবে চোখ রাঙিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান, এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদরা। মেহেদী হাসান মিরাজও কম যাননি। এই অফ স্পিনার ৪টি আর খালেদ এবাদত নেন ২টি করে উইকেট।
স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার প্রথম সেশনে মাত্র ১ উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। দ্বিতীয় সেশনে হারায় দুই উইকেট। শেষ সেশনের প্রথম ঘণ্টায় বাকি থাকা ৪ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। প্রথম ইনিংসে উইন্ডিজ থেকে পিছিয়ে থাকলেও ম্যাচে টিকে আছে বাংলাদেশ দল।
৬ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ২৩১ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় উইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে ১২৮ রানের লিডকে আরও বাড়িয়ে নিতে ব্ল্যাকউড ৫৩ এবং আলজারি জোসেফ ০ রানে তৃতীয় ও শেষ সেশনের খেলা শুরু করেন। এই সেশনে সুবিধা করতে পারেননি ব্ল্যাকউড। খালেদের দ্বিতীয় শিকার হন ব্যক্তিগত ৬৩ রানে। তাকে দুর্দান্ত এক ক্যাচে তালুবন্দি করেন মিরাজ। ব্ল্যাকউডের ১৩৯ বলের ইনিংসটি থামে ৯টি চারের মারে।
তার আগেই অবশ্য সাজঘরে ফেরেন জোসেফ। মিরাজের লেংথ ডেলিভারি টার্ন করে যায় আউটসাইড অফের দিকে। বলের লাইন বুঝতে না পেরে আড়াআড়ি ভাবে খেলতে গিয়ে ভুল করেন জোসেফ। বল ব্যাট ছুঁয়ে যায় সোহানের গ্লাভসে। ১৫ বল খেলে কোনো রান করে। মিরাজের এটি তৃতীয় হয়ে ফেরেন। এবাদতের বল রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন কেমার রোচ।
তবে ব্যাট হাতে নেমেই আক্রমণাত্বক গুদাকেশ মটি। মিরাজকে চার মেরে টেস্ট ক্রিকেটে রানের খাতা খোলেন অভিষিক্ত ক্রিকেটার। পরের ওভারে ইবাদতকে আবার দুই চার। তাতে উইন্ডিজের রান আড়াইশ পার হয়, লিড হয় দেড়শ। শেষ ব্যাটসম্যান জেইডেন সিলেসকে মিরাজ নিজের চতুর্থ শিকার বানালে ২৬৫ রানে গুটিয়ে উইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে ১৬২ রানের লিডে পায়। গুদাকেশ অপরাজিত থাকেন ২১ বলে ২৩ রানে।