ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নতুন পোষক কিনতে ঈদের বাজারে জমছে মানুষের ভিড়। ঈদের আনন্দে মেতে উঠতে নতুন পোষাক কেনায়। আর জামা কাপড়ের পাশাপাশি নতুন টুপি, সুগন্ধি আতর, সুরমা থাকবেনা, তা তো হয় না।সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নতুন পোষাকের পাশাপাশি টুপি, আতর, সুরমার দোকানেও ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় চোখে পড়ার মতো। ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার টুপি ও আতর বিক্রেতারা। নওয়াপাড়া বাজারের বিভিন্ন স্টেশনারীর দোকানে বিক্রি হয় টুপি, আতর সহ বিভিন্ন পণ্য। উপজেলার এসকল দোকানে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশ, সৌদি আরব, জার্মান, ভারত, নেপাল, পাকিস্থান, আবগান, চায়না ও তুর্কিস্থানের বিভিন্ন প্রকারের টুপি, আতর, সুরমা, পাগড়ি, তসবি, জায়নামাজ, কোরআন শরিফ, হাজী রোমাল, মেসক সহ বিভিন্ন পণ্য।
নাওয়াপাড়া কোরআন মঞ্জিল ঘরের মালিক আব্দুস সত্তার বলেন, দেশি টুপি বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকায়। পাকিস্থানী টুপি সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা। নেপালের টুপি সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা। আবগানীস্থানের টুপি সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫৫০০ টাকা। ভারতীয় টুপি সর্বনিম্ম ২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকা। চায়না টুপি সর্বনিম্ন ৪০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২২০ টাকা। মালয়েশিয়ার টুপি সর্বনিম্ন ৬০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকা। তবে উপজেলার নওয়াপড়া বাজারে দেশী ও নেপালি টুপির চাহিদা বেশি।
মদীনাতুল উলূম দোকানের আতর ব্যাবসায়ী নিজাম উদ্দিন বলেন, পবিত্র ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশী আতরের পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে সৌদি, পাকিস্থানী, দুবাই ও সুইজারল্যান্ড আতর। তবে ক্রেতাদের মধ্যে পাকিস্থানী, জার্মানী, দুবাই ও ভারতীয় আতরের চাহিদা রয়েছে। দেশি আতর বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ৩০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৫০ টাকায়, দুবাইয়ের আতর সর্বনিম্ন ১৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা, সৌদি আতর সর্বনিম্ন ১৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকা, সুইজারল্যান্ড আতর বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ১৮০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫৫০ টাকা। আর তসবি বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ৩০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকায়। হাজী রুমাল বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ১৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ টাকায়। দেশীয় হাজী রুমালের পাশাপাশি ভারত ও চায়না এবং পাকিস্থানের রুমালের চাহিদা রয়েছে। এছাড়া তূর্কি ও চায়নার জায়নামাজ বিক্রি হচ্ছে। দেশী শাহী জায়নামাজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। তূর্কি জায়নামাজ সর্বনিম্ন ৩৫০ টাকা থেকে ১৪০০ টাকা ও চায়না জায়নামাজ ২০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায়।
খুলনা গেজেট/এএজে