খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
  মানবতাবিরোধী অপরাধ : চিফ প্রসিকিউটর দেশে না থাকায় ফখরুজ্জামান ও সাত্তারের জামিন শুনানি ২ সপ্তাহ পেছাল আপিল বিভাগ
  আজ থেকে জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ শুরু
  অ্যান্টিগা টেস্ট: শেষ দিনে বাংলাদেশের দরকার ২২৫ রান, হাতে ৩ উইকেট

‘আন্ডারডগ নয়, বিশ্বকাপে দানব শিকারে প্রস্তুত বাংলাদেশ।’

ক্রীড়া প্রতিবেদক

রোববার থেকে শুরু হচ্ছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ওমান ও পাপুয়া নিউগিনি। মাঠের খেলা শুরুর আগে অংশগ্রহণকারী সব দলের সম্ভাবনা-সামর্থ্য নিয়ে প্রতিবেদন করেছে আইসিসি। শুক্রবার প্রকাশ করা হয়েছে বাংলাদেশ দলের প্রিভিউ প্রতিবেদন।

সেই প্রতিবেদনের শিরোনাম করা হয়েছে ‘এখন আর আন্ডারডগ নয়, বিশ্বকাপে দানব শিকারে প্রস্তুত বাংলাদেশ।’ বাংলাদেশ দল যে এখন আর শুধুই অংশগ্রহণের জন্য বিশ্বকাপ খেলতে যায় না, সে বিষয়টিই উল্লেখ করেছে আইসিসি। পাশাপাশি বিশ্বকাপে টাইগারদের সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

আইসিসির প্রতিবেদনের উল্লেখযোগ্য অংশ নিতে তুলে ধরা হলো:

তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে ক্রমাগত উন্নতির মাধ্যমে নিজেদের ওপর থাকা আন্ডারডগ তকমাটি সরানর কাজটি সফলভাবেই করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটি তাদের জন্য বড় একটি সুযোগ, এই ফরম্যাটে নিজেদের অগ্রযাতা ও উন্নতি প্রদর্শনের।

বছর নয়টি টি-টোয়েন্টি জয়ের মধ্য দিয়ে এবারের বিশ্বকাপটি খেলতে নামছে বাংলাদেশ। তাদের চেয়ে বেশি ১২টি জয় রয়েছে শুধুমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকা। গত মার্চে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ হারের পর থেকে রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য হয়ে গেছে বাংলাদেশ। এসময় জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে তারা।

বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের বি গ্রুপে ফর্মে থাকা বাংলাদেশই ফেবারিট। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড, ওমান ও পাপুয়া নিউগিনি। রোববার (১৭ অক্টোবর) স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অতীত পরিসংখ্যান খুব একটা ভালো নয় বাংলাদেশের জন্য। ২০০৭ সালের প্রথম আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সুপার এইটে উঠেছিলো তারা। কিন্তু ২০০৯, ২০১০ ও ২০১২ সালের আসরে কোনো জয় পায়নি বাংলাদেশ। পড়ে ২০১৪ ও ২০১৬ সালের আসরে প্রথম পর্বে দুইটি করে জয় পেলেও, সুপার টেনে হেরেছে সব ম্যাচ।

অবশ্য ২০১৬ সালের আসরে সুপার টেনে জয়ের বেশ ভালো সম্ভাবনা ছিলো বাংলাদেশের সামনে। স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে শেষ তিন বলে দুই রানের সমীকরণে হেরেছিলো এক রানে। আর নিউজিল্যান্ডকে ১৪৫ রানে আটকে রেখেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় মেলেনি জয়। তবে দুই দলকেই কাঁপিয়ে দিয়েছিলো টাইগাররা।

বিশ্বকাপের এবারের আসরে বাংলাদেশ দলের জন্য সবচেয়ে বড় বিষয়টি হলো, আগের ছয়বারের মতো এবার আর তারা আন্ডারডগ হিসেবে খেলবে না। শুধু প্রথম পর্বেই নয়, সুপার টুয়েলভে উঠতে পারলে সেখানেও আন্ডারডগ থাকবে না বাংলাদেশ।

২০১৬ সালে হতাশাজনক বিশ্বকাপের পর থেকে ধীরে ধীরে উন্নতি করে চলেছে টাইগাররা। বর্তমানে আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‍্যাংকিংয়ের ছয় নম্বরে রয়েছে তারা। যেখানে অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলগুলোও রয়েছে বাংলাদেশের পেছনে। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়টিই তাদের অগ্রযাত্রার বড় সাক্ষ্য দিচ্ছে।

অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেলে বিশ্বকাপে ভালো করার পরিপূর্ণ রসদ রয়েছে বাংলাদেশ দলের। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও সৌম্য সরকারদের নিয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইনআপ। নিচের দিকে রয়েছেন আফিফ হোসেন ধ্রুবর মতো সাহসী তরুণ।

বোলিংয়ে আক্রমণে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব মোস্তাফিজুর রহমানের কাঁধে। তার সঙ্গে রয়েছে দারুণ ফর্মে থাকা নাসুম আহমেদ এবং তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের মতো পরীক্ষিত পেসাররা। এবারের বিশ্বকাপে শুধুমাত্র সুপার টুয়েলভে উঠেই খুশি হওয়ার কথা নয় বাংলাদেশের। প্রথমবারের মতো নকআউটে নাম লেখানোর লক্ষ্যেই খেলতে নামবে তারা।




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!