যশোরের মনিরামপুরের কলেজছাত্রী সমাপ্তি খাতুনের আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে তার প্রেমিক আব্দুল আজিজ বাবুর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার আদালতে মামলা হয়েছে। আসামি বাবু চৌগাছা উপজেলার মুক্তাদাহ গ্রামের ইউনুচ আলী ড্রাইভারের ছেলে। মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের মৃত মতলেব মোড়লের ছেলে সমাপ্তির পিতা মফিজুর রহমান বাদী হয়ে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে এ মামলা করেন। অতিরিক্ত চিফ চুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আহমেদ অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআইকে আদেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদী মফিজুর রহমানে মেয়ে সমাপ্তি খাতুন ঝিকরগাছা শহীদ মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। গত বছরের আগস্ট মাসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আসামি আব্দুল আজিজ বাবুর সাথে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সময় সমাপ্তি খাতুনকে বিয়ে করার জন্য তাকে আশ্বস্ত করে বাবু। সমাপ্তি খাতুনকে এ কথাও বলা হয়, বাবুর জার্মানির ভিসা হয়ে গেছে, সে দ্রুত বিদেশে চলে যাবে।
তাছাড়া জার্মানি যাওয়ার আগেই সমাপ্তি খাতুনকে সে বিয়ে করবে। এরই এক পর্যায়ে সমাপ্তি খাতুনকে ফুসলিয়ে আব্দুল আজিজ বাবু যশোর শহরের শংকরপুরে তার এক চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে নানাভাবে প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে মেলামেশা করে বাবু। এরপর বাবুর আচারণে সন্দেহ হওয়ায় তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকে সমাপ্তি খাতুন। কিন্তু সে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। আর এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে মোবাইল ফোনে ধারণকৃত তাদের মেলামেশার ভিডিও এবং ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখায়। এ ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে সমাপ্তি খাতুন। এরপর গত ১৬ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘরের ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে সমাপ্তি খাতুন।
খুলনা গেজেট/এমএম