আওয়ামী লীগের শক্ত প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছে বিএনপি ছেড়ে আসা কেসিসির ১২ কাউন্সিলর। কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন দেওয়ার আশ্বাসে তারা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিল। কিন্তু এবার তা হচ্ছে না। ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রার্থী মনোনয়ন থেকে বিরত থাকছে আওয়ামী লীগ। ফলে তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় নেতারা প্রার্থী হচ্ছেন।
১২ কাউন্সিলর মনে করেন, তারা দলীয় সমর্থন ও মনোনয়ন পেলে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে পারবেন। কিন্তু কমিশনার পদে নির্বাচন সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে তাদের বিজয় কঠিন হয়ে পড়বে। এ ক্ষেত্রে তারা দলের একক প্রার্থী হিসাবে স্বীকৃতি চান।
খুলনা সিটি করপোরেশনে ওয়ার্ড রয়েছে ৩১টি। ২০১৮ সালের নির্বাচর পর ১২ জন কাউন্সিলর আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিলেন। তারা হচ্ছেন-২নং ওয়ার্ডের মো. সাইফুল ইসলাম, ৬নং ওয়ার্ডের শেখ শামসুদ্দিন আহম্মেদ প্রিন্স, ৭নং ওয়ার্ডের সুলতান মাহমুদ, ৮নং ওয়ার্ডের মো. ডালিম হাওলাদার, ১২নং ওয়ার্ডের মো. মনিরুজ্জামান, ১৬নং ওয়ার্ডের মো. আনিসুর রহমান বিশ্বাস, ১৭নং ওয়ার্ডের শেখ হাফিজুর রহমান, ২০নং ওয়ার্ডের শেখ মো. গাউসুল আযম, ২৩নং ওয়ার্ডের ইমাম হাসান চৌধুরী ময়না, মো. গোলাম মাওলা শানু, ৩১নং ওয়ার্ডের মো. আরিফ হোসেন মিঠু এবং সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিরা আকতার।
আসন্ন সিটি নির্বাচনে এসব কাউন্সিলরকে আবার দলীয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে নির্বাচন করতে হচ্ছে। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডেই কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হতে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাদের সবাই দলীয় সমর্থন পাওয়ার আশা করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কাউন্সিলর জানান, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেওয়া হবে এমন আশ্বাসে তারা যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেও বিষয়টি নিয়ে দলের কোনো সাড়া নেই। এতে তারা ক্ষুব্ধ ও হতাশ। যদিও প্রকাশ্যে এনিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি কেউই।
কাউন্সিলর পদে প্রার্থিতার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক কাজী আমিনুল হক বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে দলের একাধিক নেতা প্রার্থী হওয়ায় কাউন্সিলর পদে দল থেকে কাউকে মনোনয়ন বা সমর্থন দেওয়া হবে না। নির্বাচনে প্রার্থীতা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে নিজেদের মধ্যে যাতে সংঘাত না হয়, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া হবে।