আইরিশদের বোলিং তোপে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে টাইগাররা। দেশের মাটিতে সর্বশেষ সিরিজে দুর্দান্ত খেলেছিলেন তাওহিদ হৃদয়। নিজের অভিষেক সেই সিরিজের ফর্ম টেনে নিতে পারলেন না ইংল্যান্ডে। আইরিশদ পেসারদের সামলে উইকেটে থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে পারলেন না এই তরুণ ব্যাটার।
২৭তম ওভারের তৃতীয় বলটি অফ স্টাম্পের বাইরেফুল লেন্থে করেছিলেন গ্রাহাম হিউম। এই পেসারকে ডিফেন্স করতে গিয়ে আউট সাইড এইডজে ধরা পড়েন হৃদয়। উইকেটের পেছনে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন লরকান টাকার। সাজঘরে ফেরার আগে ৩১ বলে ২৭ রান করেছেন হৃদয়।
২৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান। মুশফিক উইকেটে আছেন ১৪ রান নিয়ে, অপর অপরাজিত ব্যাটার মিরাজের সংগ্রহ ১০ রান।
এর আগে চেমসফোর্ডে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। আইরিশদের হয়ে বল হাতে ইনিংস ওপেন করা জশ লিটল প্রথম ওভারেই বেশ ভুগিয়েছেন বাংলাদেশি ব্যাটারদের। নতুন বলে এই পেসারের বাড়তি সুইং আর পেস সামলাতে পারেননি লিটন। ইনিংসের চতুর্থ বলটি অফ স্টাম্পের ওপর ইয়র্কার করেছিলেন লিটল, সেখানে সোজা ব্যাটে ডিফেন্স করতে গিয়ে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি লিটন। তাতে বল আঘাত হানে তার প্যাডে। আর আম্পায়ার তাতে আঙ্গুল তুলতে খুব একটা সময় নেননি।
লিটনের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তামিম ইকবালও। যদিও শুরুটা ভালোই করেছিলেন এই ওপেনার। দুই বাউন্ডারিতে ভালো শুরুর আভাস দিয়েও থিতু হতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলটি অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরে ফুলার লেন্থে করেছিলেন মার্ক অ্যাডায়ার। সেখানে বড় শট খেলতে গিয়ে তামিমের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল চলে যায় উইকেটকিপার লরকান টাকারের গ্লাভসে। তাতে আউটের আবেদন করেন আইরিশরা। কিন্তু আম্পায়ার তাতে সাড়া দেননি। ফলে রিভিউ নেয় তারা। তাতে সিদ্ধান্ত বদলে আউট দিত্যে বাধ্য হন আম্পায়ার।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তাদের দৃঢ়তায় দলীয় অর্ধশতক পূরণ করে বাংলাদেশ। কিন্তু শুরুর পাওয়ার প্লে শেষে আর বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না সাকিব। ১২তম ওভারের প্রথম বলে গ্রাহাম হিউমকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যাটে বলে করতে পারেননি সাকিব। তাতে বল সরাসরি আঘাত হানে তার উইকেটে। সাজঘরে ফেরার আগে ২১ বলে ২০ রান করেছেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
সাকিব ফিরে যাওয়ার পরও দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন শান্ত। শুরুতে কিছুটা ধীরগতির ব্যাটিং করলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। হৃদয়ের সঙ্গে চতুর্থ উইকেট জুটিতে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ব্যাক্তিগত হাফ সেঞ্চুরির খুব কাছেই ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর মাইলফলক ছুঁতে পারেননি। ২২তম ওভারের চতুর্থ বলে কুর্টিস ক্যাম্পারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমানায় অ্যাডায়ারের হাতে ধরা পড়েন শান্ত। ৭ চারে ৬৬ বলে ৪৪ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
খুলনা গেজেট/এমএম