অভয়নগরের সড়কগুলো পাকা হলেও দেখে বোঝার কোন উপায় নেই যে এগুলো পাকা সড়ক। ট্রাকে-ট্রলিতে করে ইটভাটায় নেওয়া মাটি পড়ে সড়কগুলো কাদা মাটিতে একাকার হয়ে বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে মোটরসাইকেলের চাকা পিছলে গিয়ে মারাত্বক দূর্ঘটনার শিকার হয়েছেন অন্তত ৫ জন।
এসময় ইটভাটা মালিক ও মাটি ব্যবসায়ীদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পথচারীরা। শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে উপজেলার চলিশিয়া গ্রামের শ্যামলের ভাটা সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বৃষ্টির পর থেকে সড়কগুলোতে কাদা মাটি ভিজে একাকার হয়ে যায়। ফলে এসব সড়ক দিয়ে সকালে চলাচল করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হয় মোটরসাইকেল ও ছোট ছোট গাড়ির চালকরা। অভয়নগর উপজেলার বিভিন্ন সড়কগুলোর এখন একই দশা। কাদা-মাটিতে একাকার হয়ে সড়কগুলো এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা হেঁটে পথ পাড়ি দিতেও চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে পথচারীদের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে কতিপয় ইটভাটার অবৈধভাবে চলা ট্রাক্টর-ডাম্পার, ট্রলি, ট্রাক পাকা রাস্তা দিয়ে নিয়মিত মাটি নিয়ে বিভিন্ন ইটভাটায় চলাচল করার সময় এসব যানবাহন থেকে মাটি রাস্তায় পড়ে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ইটভাটার ট্রাক্টরসহ বিভিন্ন যানের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত বহন করা মাটি সড়কে পড়ে। সেই মাটি থেকে ধুলোর সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে বেশকিছু দিন ধরে ধুলো বালিতে বসবাস করাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছিল এলাকাবাসীর। এখন বৃষ্টি হওয়াতে পাকা রাস্তাটি কাদাময় হয়ে পড়েছে। চলাচলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে বেড়েছে দুর্ভোগ। হঠাৎ বৃষ্টির কারণে এসব সড়কে এতটাই পিচ্ছিল হয়েছে যে, গাড়ী চলাচল তো দূরের কথা হেটেও চলাচল করা যাচ্ছে না।
রাস্তায় চলাচল করা এক মটরসাইকেল চালক জানান, ইটভাটার কাজে নিয়োজিত মাটিবাহী যানবাহন থেকে রাস্তায় পড়ে যাওয়া মাটি রোদের সময় রাস্তায় শুকিয়ে ধুলা আর বর্ষায় কাঁদা হয়ে থাকে। দেখে বুঝার উপায় থাকে না এটা কার্পেটিং রাস্তা। এতে বছর জুড়েই এই সড়কে চলাচল করতে পোহাতে হয় দুর্ভোগ।
তবে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কগুলোতে যদি এখনই কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা না যায় তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। বিশেষ করে আগামী বর্ষা মৌসুম তো আছেই। এজন্য এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে ইটভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান এলাকাবাসী।
খুলনা গেজেট/ এসজেড