যশোরের অভয়নগর উপজেলার দেবাশীষ সরকারকে খুন ও ডাকাতির মামলায় দু’জনকে আটক করেছে পিবিআই। বৃহস্পতিবার গভীররাতে ও শুক্রবার সকালে আসামিদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক ও মালামাল উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলো, খুলনার তেরখাদার মোকামপুর গ্রামের মোতালেব খাঁর ছেলে সেলিম খাঁ ওরফে মহিদুল খাঁ ও দিঘলীয়ার চন্দনী মহলের মুক্তার শেখের ছেলে নান্টু শেখ। আটক সেলিম খাঁ ও নান্টুকে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। শুক্রবার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাদী হাসান আসামিদের জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তারা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা আদালতে স্বীকার করেছে ।
পুলিশ সুপার রেশমা শারমিনের নেতৃত্বে এসআই দেবাশীষ মন্ডল, স্নেহাশিস দাশ, রেজোয়ানসহ একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামিদের আটক করে। এসময় সেলিম খাঁর কাছ থেকে একটি সোনার আংটি এবং তাদের স্বীকারোক্তিতে বিক্রি করা সোনা খুলনা সদর উপজেলার হেলাতলার ‘রিংকু স্টোর’ থেকে উদ্ধার করা হয়। যার ছয় ভরি সাত আনা সোনা গলানো অবস্থায় ছিল।
এর আগে ২৬ এপ্রিল রাত আড়াইটা থেকে তিনটার দিকে আটক দু’আসামি ছাড়াও অজ্ঞাত ৭/৮জন অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া গ্রামের দেবাশীষ সরকারের বাড়িতে ডাকাতি করে। এসময় তারা দেবাশীষ সরকারসহ তার স্ত্রী রিপা সরকার, মেয়ে দেবীকা সরকার ও মা মিনতী সরকারকে মারপিটে রক্তাক্ত জখম করে ঘরে থাকা নগদ চার লাখ টাকা ও ২০ ভরি ৮ আনা সোনা ডাকাতি করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে আশেপাশের লোকজন এসে দেবাশীষ সরকার ও রিপা সরকারকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করলে দেবাশিষ মারা যান।
এ ঘটনায় খুন ও ডাকাতির অভিযোগে নিহতের ভগ্নিপতি অ্যাডভোকেট তপন কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় অজ্ঞাত ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। তারা তদন্তের মাধ্যমে ডাকাতদলের সদস্যদের আটক ও লুন্ঠিত সোনা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি