অভয়নগরে ষাটোর্ধ এক নারীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।বউমার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন এমনটিই অভিযোগ স্থানীয়দের। এ ঘটনাটি যশোরের অভয়নগর উপজেলার মশরহাটি মালোপাড়া গ্রামে ঘটে।
সরেজমিনে ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মশরহাটি মালোপাড়া গ্রামের রাজকুমার বিশ্বাসের স্ত্রী দীপালি রানী বিশ্বাস (৬০) বুধবার ভোর রাত ৩টার সময় ঘরের আড়ার সাথে কাপড় দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের সদস্যরা ওই নারীর লাশ তড়িঘড়ি করে নৌকাযোগে নওয়াপাড়া মহাস্নাসানে সৎকার করার জন্য নিয়ে আসে।
গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে অভয়নগর থানা পুলিশের এসআই অচিন্ত্য সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন। নিহত দীপালি রানীর দুই ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। তার বড় ছেলে সঞ্জয় বিশ্বাস এক বছর আগে বিয়ে করেছেন। ছেলের বউ শুকলা বিশ্বাসের সাথে শ্বাশুড়ির ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো বলে জানান এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, ওই নারীর সাথে তার ছেলের বউয়ের সব সময় ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। ঘটনার রাতেও অনেক রাত পর্যন্ত তাদের মধ্যে বেশ কলহ হয়।
স্থানীয় অনেকেই দাবি করেছেন, বৃদ্ধার মৃত্যু রহস্যজনক, তাই সঠিক তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তারা। অন্যদিকে পুলিশ ওই মহিলার লাশ উদ্ধার করার পরেও লাশটি সৎকার করার অনুমতি দিয়েছে। যে কারনে এলাকায় ক্ষোপের সৃষ্টি বিরাজ করছে।
শুকলা বিশ্বাস বলেন, মাঝে মাঝে আমার শ্বাশুড়ির সাথে একটু ঝগড়াঝাটি লাগতো। তা পরে আবার ঠিক হয়ে যেতো। কি কারণে তিনি ঘরের আড়ার সাথে কাপড় দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলতে পারছি না।
এ বিষয়ে অভয়নগর থানা পুলিশের এসআই অচিন্ত্য জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশে সৎকারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়টি নিয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম শামীম হাসান বলেন, ষাটোর্ধ বয়সের এক মহিলা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এলাকাবাসীদের মধ্যে গন্যমান্য লোকজনের কারণে একটি অপমৃত্যু মামলা দিয়ে লাশ সৎকারের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম