যশোরের অভয়নগরে ৭০০ টন কয়লা বোঝাই ‘এমবি প্রবাহ এন্টারপ্রাইজ-২’ নামের একটি কার্গো জাহাজ ডুবে যাওয়ার ২৪ ঘন্টা পার হলেও এখনও শুরু হয়নি উদ্ধার কাজ। ফলে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে জাহাজ চলাচলে। দূষিত হচ্ছে ভৈরব নদের পানি। হুমকিতে জীববৈচিত্র্য।
জানা গেছে, শনিবার (২৭ মার্চ) সকালে উপজেলার রাজঘাট এলাকায় সাহারা গ্রুপের নিজ ঘাটে ‘এমবি প্রবাহ এন্টারপ্রাইজ-২’ কয়লা বোঝাই জাহাজ ডুবে যায়। এ ঘটনার ২৪ ঘন্টা পার হলেও উদ্ধার কাজ শুরু না হওয়ায় নদীপথে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে ছোট-বড় মালবাহী জাহাজ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ডুবে যাওয়া জাহাজের আশাপাশে কয়লার বিষাক্ত রাসায়নিক কেমিক্যাল নদে ভাসছে। পানি কালো আকার ধারণ করেছে। যা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এসময় ভৈরব নদে নোঙ্গর করা আল-আকসা জাহাজের মাস্টার মনিরুজ্জামান জানান, শনিবার রাতে মংলা বন্দর থেকে গম নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। ভোর ছয়টার সময় নওয়াপাড়ার রাজঘাটে এসে ডুবে যাওয়া জাহাজের কারণে প্রায় ৪ ঘন্টা আটকে আছি।
ডুবে যাওয়া ‘এমবি প্রবাহ এন্টারপ্রাইজ-২’ জাহাজের লস্কর বজলুর রহমান জানান, উদ্ধার কাজে ব্যবহৃত জাহাজ আসলে উদ্ধার কাজ শুরু হবে। যা শুরু হতে সন্ধ্যা হতে পারে।
এ ব্যাপারে যশোর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. হারুন অর রশিদ মুঠোফোনে জানান, রবিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় নদের পানি পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নওয়াপাড়া নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক মো. ফরিদুল ইসলাম জানান, আমি দুইবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দ্রুত উদ্ধার কাজের জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।
প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা সাহারা গ্রুপের কয়লা গত মঙ্গলবার মংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়া থেকে ‘এমবি প্রবাহ এন্টারপ্রাইজ-২’ জাহাজে লোড দেয়া হয়। ৭৬৫ টন কয়লা নিয়ে ওই দিন অভয়নগরের নওয়াপাড়া নদী বন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। গত বুধবার রাতে কয়লাবোঝাই জাহাজটি নওয়াপাড়ার রাজঘাট এলাকায় সাহারা গ্রুপের নিজ ঘাটে নোঙ্গর করে। শনিবার (২৭ মার্চ) সকাল আনুমানিক ৮ টার সময় জাহাজ থেকে কয়লা আনলোডের কাজ শুরু হয়। প্রায় এক ঘন্টা পর জাহাজের তলদেশ দিয়ে হ্যাজে পানি ঢুকতে শুরু করে। এরপর মাত্র দেড় ঘন্টার মধ্যে জাহাজটি ভৈরব নদে ডুবে যায়।
খুলনা গেজেট/এনএম