খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ১৬ ডিসেম্বর ঘিরে কোনো ধরণের হামলার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  মহাখালীতে সড়ক-রেললাইন অবরোধ শিক্ষার্থীদের, সারা দেশের সঙ্গে ঢাকার ট্রেন চলাচল বন্ধ
মৎস্য চাষীদের সংবাদ সম্মেলন

অভয়নগরে চোরচক্র ও দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে বিচারের দাবি

অভয়নগর প্রতিনিধি

চোরচক্র ও দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে বিচার দাবি করাসহ মৎস্য ঘেরে বিষ দিয়ে মাছ চুরি ও জলজ প্রাণি নিধনের প্রতিবাদে যশোরের অভয়নগরে সংবাদ সম্মেলন করেছে মৎস্য চাষীরা।

মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুরে উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের বারান্দি, চোমরডাঙ্গা, পায়রা, দামুখালী ও দত্তগাতী বিলের মৎস্য চাষীদের আয়োজনে নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে চোর নিধন ও মৎস্য উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক ইউপি সদস্য মণি শংকর রায় তার লিখিত বক্তব্য বলেন, অভয়নগরের ভবদহ সংলগ্ন পায়রা ইউনিয়নের চোমরডাঙ্গা বিলসহ অন্যান্য কয়েকটি বিলে বেশ কিছুদিন যাবত বিষ প্রয়োগ করে মৎস্য ঘের থেকে মাছ চুরির ঘটনা ঘটছে। এই চুরির সঙ্গে একটি সঙ্গবদ্ধ চোরচক্র এবং স্থানীয় দুষ্কৃতিকারীরা জড়িত রয়েছে। সম্প্রতি অভয়নগর থানা পুলিশ চোরাই মাছসহ চোরচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

এসময় খুলনার ডুমুরিয়া থানার চিংড়া গ্রামের মৃত ইনতাজ আলী শেখের ছেলে আন্তঃ জেলা চোরচক্রের মূলহোতা বিলাত আলী শেখ ওরফে বিলাত হোসেন পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। চুরির বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণসহ অবাধে মাছ চাষের পরিবশে তৈরিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ভূমিকা রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, উল্লেখিত বিলসমূহে কয়েক হাজার পরিবারের ছোট-বড় প্রায় দুই হাজার মৎস্য ঘের রয়েছে। এসব ঘেরের মাছ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়। যা দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে। মৎস্য চাষীরা তাদের ঘের সচল রাখতে বিভিন্ন এনজিও ও সমিতি থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছে। অথচ একটি চোরচক্র রাতের আঁধারে বিষ প্রয়োগ করে মাছ চুরি ও জলজ প্রাণি নিধন করছে। যে কারণে অধিকাংশ ঘের মালিক এ ব্যবসা ছেড়ে অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়ছে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাদের সন্তানদের লেখাপড়া। ভেঙ্গে পড়ছে গ্রামিণ উন্নয়ন। অনেকে আবার ঋণের বোঝা সামাল দিতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।

দ্রুত সময়ের মধ্যে মাছ চুরি ও জলজ প্রাণি নিধন বন্ধে স্থানীয় পুলিশ ও মৎস্য দপ্তরের নজরদারী বৃদ্ধি করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখিত দাবিসমূহ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিআকর্ষণ এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। অন্যথায় মাছ চুরিকে কেন্দ্র করে কেনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায়ভার মৎস্য চাষীরা বহন করবে না বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলন চলাকালে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান তারু, পায়রা ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ মুন্সী, সরোয়ার দফাদার, উপজেলা যুবলীগ নেতা টিপু সুলতান মোল্যা, ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষী ইসলাম মোল্যা, আতাউর রহমান স্বপন, মাসুদ শেখ, ফিরোজ গাজী, বিল্লাল মল্লিক, গণেশ গাইন, মিল্টন সরকার, ধনঞ্জয় বিশ্বাসসহ শতাধিক মৎস্য চাষী।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!