যশোরের অভয়নগরে ডেকে নিয়ে মোহম্মদ সমীর (৪০) নামে এক ঘাট সর্দারের পায়ের রগ কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার নওয়াপাড়া নদীবন্দর এলাকায় এ হোসেন ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সমীরকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে উপজেলার নওয়াপাড়া মডেল কলেজ এলাকার মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে।
চিকিৎসাধীন সমীর মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি বন্দর এলাকায় কাওছার ঘাটে সর্দার হিসেবে কর্মরত রয়েছি। এছাড়া আমি বিভিন্ন জাহাজে কাঠের সিঁড়ি ভাড়া দিয়ে থাকি। শনিবার রাত আনুমানিক ৮ টার সময় মোবাইল ফোনে জাহাজের মাস্টার পরিচয়ে দুটি সিঁড়ি ভাড়া নেওয়ার কথা বলে নোনাঘাটে আসতে বলেন। সিঁড়ি নিয়ে ঘাটে পৌঁছে কাউকে না পেয়ে এ হোসেন ঘাটে যাই। এসময় ৪-৫ জন মুখোশধারী সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার বাম পায়ের রগ কেটে পালিয়ে যায়।’
স্থানীয় ঘাট শ্রমিকরা জানায়, শনিবার রাতে ঘাট সর্দার সমীরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. সুমন হোসেন জানান, বাম পায়ের রগ কাটা অবস্থায় সমীর নামে এক রোগীকে রাতে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
আহত সমীরের ভাই মোহাম্মদ সোহেল বলেন, রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। আমার ভাইয়ের উপর যারা সন্ত্রাসী হামলা করেছে, তাদের শাস্তি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই আহসান হাবিব জানান, মোহাম্মদ সমীর নামে এক ঘাট সর্দারের উপর হামলার ঘটনায় তাঁর ভাই মোহাম্মদ সোহেল বাদি হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই