অভয়নগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগী রয়েছে ৪৩ জন । নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন ৩১ জন। ১২ দিনে ১৫৫ রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এক মাসে ৩০৬জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। যে কারণে নাজেহাল হয়ে পড়েছেন চিকিৎসকেরা।
জানা গেছে, ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ চরমে পৌঁছেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পা রাখার জায়গা নেই। ৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৪৩ জন ডেঙ্গু রোগী। এছাড়া অন্যান্যে রোগীর চাপ রয়েছেই। বেড সংকট ও দেখা দিয়েছে। যে কারণে বারান্দায় বিছানা পেতে রোগীরা চিকিৎসা সেবা গ্রহন করে যাচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার এই ৫০ শয্যার এ হাসপাতালটিতে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১১০ থেকে ১৩০ জন রোগী ভর্তি থেকে সেবা নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে রোগীর চাপ সামলাতে রীতি মত হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। সেই সাথে হাসপাতালের পরিবেশ পরিচ্ছনতা বজায় রাখাও অনেকটা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।
সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালটিতে ৩১ জন ব্যক্তি ডেঙ্গু রোগ নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন।গতকাল শনিবার বিকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ৪৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। এসব রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকসহ নার্সদের। হাসপাতালে বেডসহ মেঝেতে ভর্তিকৃত রোগীর জন্য চলাচল করতে ও পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। গত ১২ দিনে হাসপাতালটিতে ১শ’৫৫জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত সেপ্টেম্বর মাসেই চিকিৎসা নিয়েছেন ২৬৭ জন ডেঙ্গু রোগী, আগস্টে ছিল ২শ জন। আর জুলাই মাসে এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ১শ ৩৩ জন । ধারাবাহিক এ বৃদ্ধির হার অক্টোবরে ১৬ তারিখ হতে এ পযর্ন্ত ১৫৫জন চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। এক মাসে ৩০৬জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন ।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ডেঙ্গু রোগী রাবেয়া বেগম, হাকিম হোসেন, রবিউল হাসান বলেন, ৪ দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের বর্হিবিভাগে ডাক্তার দেখানোর পর রক্ত পরিক্ষা করে ডেঙ্গু রোগ সনাক্ত হয়েছে। পরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এ হাসপাতালে অনেক বেশি। মাঝে একটু কম ছিল। কিন্তু এখন আবার বাড়ছে। আমাদের পক্ষ থেকে নিয়মিত তাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে ৫০ শয্যার হাসপাতালের রোগীর সেবা দিতে গিয়ে সার্বিক দিক হিমশিম খেতে হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ টিএ