খুলনা, বাংলাদেশ | ২৮ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৩ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯১৫
  ময়মনসিংহে ভিমরুলের কামড়ে বাবা-মেয়ের মৃত্যু
  এমন রাষ্ট্র গঠন করতে চাই যা নিয়ে দুনিয়ার সামনে গর্ব করা যায়, ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
  আজ মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরা-বিপণনে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা

অনাবৃষ্টিতে পুড়ছে বীজতলা, আমন চাষীদের মাথায় হাত

নিতিশ সানা, কয়রা

বাংলাদেশ ষড় ঋতুর দেশ। ঋতু ভেদে এদেশের কৃষকরা বিভিন্ন ফসলাদি চাষ করে। ভরা শ্রাবণে নেই বৃষ্টি। রোপা আমন চাষ করতে না পেরে দিশেহারা কৃষক।

আষাঢ় ও শ্রাবন মাস নিয়ে বর্ষা ঋতু। এসময় প্রচুর বৃষ্টি হয়। আর আষাঢ় মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয় আমনের বীজতলা। কিন্তু আষাঢ় মাসের শেষ হয়ে শ্রাবণ মাসের অর্ধেক হলেও বৃষ্টি না হওয়ায় আমন চাষ নিয়ে বিপাকে আছে উপকূলীয় অঞ্চল খুলনার কয়রা উপজেলার কয়েক হাজার আমন চাষী।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে এবছর ১৪ হাজারর ৭২০হেক্টর জমিতে রোপা আমনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এবছর অনাবৃষ্টির কারণে অনেক কৃষক বীজতলা তৈরি করলেও তাদের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। এখনও যদি বৃষ্টি হয় তাহলে ১৫ হাজার হেক্টরের বেশি আমন চাষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

কয়রা সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর কয়রা গ্রামের কৃষক রতন মুন্ডা জানান, ৯ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে জমানো টাকা দিয়ে আমনের বীজ তলা তৈরি করেছেন। তবে বৃষ্টি না হওয়ায় তার বীজতলা শুকিয়ে যাচ্ছে।

একই গ্রামের আব্দুর রশীদ গাজী নিজের ২ বিঘা জমি ও অন্যের কাছ থেকে ২ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আমনের চাষের জন্য ৪ বিঘা জমির বীজতলা তৈরি করেছেন। অনাবৃষ্টিতে তার বীজতলা শুকিয়ে নষ্ট হয়েছে। আবারও নতুন বীজতলা তৈরি করতে হলে দিগুণ দামে বীজ কিনতে হবে তার।

উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের নাকসা গ্রামের ধান চাষী বাবর আলী মোড়ল বলেন, ‘আষাঢ়ের মাঝামাঝিতে ধান ফেলাই। কিন্তু এবার বর্ষা না হওয়ায় এখনও বীজ ধান ভিজাতি পারিনি। সারাবছরে একটা ফসল হয়, এই বর্ষার মৌসুমে বর্ষা না হলি কৃষকের যে কি পরিমান ক্ষতি হবে বলা যাচ্ছে না।’

একই ইউনিয়নের হরিকাটি গ্রামের রাহুল মন্ডল জানান, সময় চলে যাচ্ছে বৃষ্টি হচ্ছে না। ধান ভিজিয়ে ছিলাম এখন কল গজিয়েছে। বৃষ্টি হচ্ছে না তবুও পানি তুলে চাতর তৈরী করে ধান ফেলেছি। বৃষ্টি না হলে পাতা হবে না। সরকারি বীজধান খুব চড়া মূল্যে কিনতে হয়েছে, যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে এবার আর কোন উপায় থাকবে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, এ বছর উপজেলায় ১৪ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে আমনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে অনাবৃষ্টির কারণে অনেক জায়গায় বীজতলা নষ্ট হয়েছে। মাঠপর্যায়ে আমাদের কর্মীরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে। দ্রুত বৃষ্টি হলে এ অবস্থার উন্নতি হবে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!