শুধু জিতলেই হবে না, রান রেটেও এগিয়ে থাকতে হবে; ওই সমীকরণ ‘শট কার্টে’ মিলিয়ে দেওয়ার পথে ছিল ইংল্যান্ড। শ্রীলঙ্কার ১৪২ রানের লক্ষ্যে নেমে দাপুটে শুরু করে দলটি। তবে মিডল ওভারে দ্রুত উইকেট হারিয়ে দুই বল থাকতে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে ইংলিশরা। নেট রান রেট কমেছে। তবু অস্ট্রেলিয়াকে বিদায় করে উঠে গেছে সেমিফাইনালে।
সাত পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। তাদের নেট রান রেট ২.১১৩। ইংল্যান্ডের পয়েন্টও সাত। তাদের নেট রান রেট ০.৪৭৩। শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে যা ছিল ০.+৫৪৭। অন্যদিকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া তিন জয় ও এক টাই ম্যাচ মিলিয়ে সাত পয়েন্ট তুললেও নেট রান রেটে (-০.৪৫৭) পিছিয়ে গেছে। প্রথম ম্যাচে কিউইদের বিপক্ষে বড় হার ও শেষ ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে ছোট জয় কাল হয়েছে অজিদের।
সিডনি গ্রাউন্ডে টস জিতে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। নিয়ম রক্ষার ম্যাচে ওপেনিং জুটিতে ৩৯ রান যোগ করে লঙ্কানরা। ওপেনার কুশল মেন্ডিস ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। অন্য ওপেনার পাথুন নিশাঙ্কা ৪৫ বলে পাঁচটি ছক্কা ও দুই চারে খেলেন ৬৭ রানের দারুণ ইনিংস।
তারপরও সংগ্রহ বড় হয়নি লঙ্কানদের। আট উইকেটে দেড়শ’ রানের আগে থেমে যাওয়ার কারণ মিডল অর্ডারের ভানুকা রাজাপক্ষে (২২ বলে ২২) ছাড়া অন্য কেউ দশ রানের ঘরে ঢুকতে পারেননি। জবাব দিতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে ইংল্যান্ড। জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস ৭৫ রানের জুটি গড়েন।
বাটলার ফিরে যান ২৩ বলে ২৮ রান করে। হেলসের ব্যাট থেকে আসে ৩০ বলে ৪৭ রান। বেন স্টোকস ৩০ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে ফেরেন। তবে চারে নামা হ্যারি ব্রুক (৪), পাঁচে নেমে লিয়াম লিভিংস্টোন (৪), ছয়ে নামা মঈন (১) কিংবা সাতে নামা স্যাম কারেন (৬) ব্যর্থ হওয়ায় জয়টা কঠিন হয়ে যায় ইংলিশদের।
সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার ম্যাচে মার্ক উড দারুণ বোলিং করেছেন। তিনি ৩ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। এছাড়া স্টোকস, মার্ক উড, স্যাম কারেন ও আদিল রশিদ একটি করে উইকেট নেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে লাহিরু কুমারা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। ছোট এই জয়ে গ্রুপ রানার্স আপ হয়ে শেষ চারে খেলবে ইংল্যান্ড। রান রেট বেশি হওয়ায় নিউজিল্যান্ড গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।