খুলনা, বাংলাদেশ | ২১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৪ মে, ২০২৪

Breaking News

  গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ, স্টেশন মস্টারসহ সাময়িক বরখাস্ত ৩
  এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে : শিক্ষা মন্ত্রণালয়

অঙ্কিতা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় বাবার স্বাক্ষ্য দ্বিতীয় দিনেও নেয়া সম্ভব হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীর দৌলতপুর বীণাপানি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী অঙ্কিতা দে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় বাবার স্বাক্ষ্য নিতে পারেনি আদালত। বাদীর মানষিক প্রস্তুতি না থাকায় আদালত তার স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেনি। আগামী ৫ জুলাই স্বাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে দু’বার পেছালে অঙ্কিতার বাবার স্বাক্ষ্য গ্রহণের দিন। এর আগে সকালে আসামি প্রীতম রুদ্রকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।

খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২ এর আদালতে চলছে অঙ্কিতা দে হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম। এর আগে গেল মাসের ২৩ তারিখে অঙ্কিতার বাবা সুশান্ত কুমার দে কে স্বাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদালতে ডাকা হয়। ওই দিনও তিনি আদালতে উপস্থিত হয়ে স্বাক্ষ্য দিতে পারেননি।

ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেসমিন পারভীন জলি বলেন, গেল বছরের ১০ এপ্রিল অঙ্কিতাকে হত্যার অভিযোগে প্রীতম রুদ্রকে আসামি করে দৌলতপুর থানার এস আই মো: মিজানুর রহমান অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর বিচারের জন্য খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২ নং ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হয়। এ মামলায় মোট ২২ জনকে স্বাক্ষী করা হয়েছে।

গত মাসের ২৩ তারিখে অঙ্কিতার পিতা সুশান্ত কুমার দে কে স্বাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত । ওইদিন তিনি আদালতে এসে মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন এবং স্বাক্ষ্য দিতে অপারগতা জানান। ১২ জুন পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়। আজও তিনি আদালতে এসেছিলেন, কিন্তু মানষিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন না। আগামী ৫ জুলাই পুনরায় স্বাক্ষ্যর দিন ধার্য করে তাকে ফিরিয়ে দেন আদালত। ওই আইনজীবী আরও বলেন, মামলাটি দ্রুত বিচার আদালতে নেওয়ার জন্য ভিকটিমের বাবা সুশান্ত কুমার দে খুলনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। কিন্তু আবেদনের উত্তর এখনও আসেনি।

অঙ্কিতার পিতা সুশান্ত কুমার রাতে খুলনা গেজেটকে বলেন, রোববার আদালতে স্বাক্ষ্যর দিন ধার্য ছিল। মানষিকভাবে প্রস্তুতি না থাকায় তিনি স্বাক্ষ্য দিতে পারেনি। এর আগেও একবার আদালতে উপস্থিত হয়ে একই কারণে তিনি স্বাক্ষ্য দিতে পারেননি।

উল্লেখ্য ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি বিকেলে খুলনার দৌলতপুর থানার পাবলা বনিক পাড়া এলাকায় খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী অঙ্কিতা দে। এ ঘটনায় প্রথমে থানায় সাধারণ ডায়েরি ও পরবর্তীতে অপহরণ মামলা করেন অঙ্কিতার বাবা সুশান্ত দে। মামলার পর পুলিশ একই এলাকার জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী রিক্তাকে গ্রেপ্তার করে। তদের দু’জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পরেরদিন ওই এলাকার একটি ভবনের নিচতলার শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় অঙ্কিতার বস্তাবন্দি মরদহে। এরপর বিণাপনি ভবনের মালিকের ছেলে প্রতীম রুদ্রকে আটক করা হলে সে হত্যাকান্ডের বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করে । ৩০ জানুয়ারি আদালতে হত্যাকান্ডের বর্ণনা দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে প্রীতম রুদ্র্।

সেখানে উল্লেখ করা হয় কম্বল দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অঙ্কিতাকে ছাদে ডেকে নেয় প্রীতম। সেখানে নিয়ে সে অঙ্কিতা ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় । এরপর ভারি বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে অঙ্কিতা। পরে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তাকে হত্যা করে প্রীতম।

 

 

খুলনা গেজেট/ আ হ আ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!