সাতক্ষীরার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমানকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে স্কুল থেকে বের দেওয়ার ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষক শফিকুর রহমান নিজে বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে রোববার (১৭ আগষ্ট) রাত ১১টার দিকে সদর থানার এই মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী গ্রামের মৃত আনারুল ইসলামের ছেলে বল্লী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি সেলিম আক্তার মন্টু (৫০), কাঠালতলা গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে ছাত্রদল নেতা কামরুজ্জামান সবুজ (৩০), মুকুন্দপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গনি (৬০), হাজীপুর গ্রামের মৃত কওছার আলী গাজীর ছেলে বিএনপি কর্মী ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম (৪৫), মোচড়া গ্রামের রেজাউল বিশ্বাসের ছেলে যুবদল কর্মী শাহিনুর রহমান (২৮), বল্লী গ্রামের মৃত আব্দুল কবিরাজের ছেলে ইসলাম কবিরাজ (৫০), মুকুন্দপুর গ্রামের আজিবুর রহমানের ছেলে রাশেদুজ্জামান (৩০) এবং কাঠালতলা গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে ইউপি সদস্য আব্দুল রইপ (৪৫)।
প্রসঙ্গত, শনিবার (১৬ আগস্ট) ক্লাস শেষে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় এক ছাত্রীকে নিয়ে দীর্ঘ ৩৭ মিনিট অবস্থান করেন শিক্ষক শফিকুর রহমান। পরদিন রোববার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলামসহ এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের সঠিক প্রতিকার না মেলায় বেলা ১০ টার দিকে বিএনপি নেতা সেলিম আক্তার মন্টু ও যুবদল নেতা কামরুজ্জামান সবুজসহ ১০/১২ জন লাঠিসোটা ও রড ও হাতুড়ি নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে। তারা অফিস কক্ষে ঢুকে শিক্ষক শফিকুর রহমানের ওপর হামলা চালায় এবং পরে তাকে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে আটক করে রাখে। পরে সহকর্মী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শফিকুর রহমানকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপরেশন্স) সুশান্ত কুমার ঘোষ জানান, সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমানকে নিগৃহীত করার ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামি করে রোববার রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
খুলনা গেজেট/এনএম