Edit Content
খুলনা বাংলাদেশ
বুধবার । ২৩শে জুলাই, ২০২৫ । ৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

ডেঙ্গু ও করোনা নয়, দুর্বল সচেতনতাই বড় বিপদ: বিভাগীয় কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক, নড়াইল 

করোনা ভাইরাস ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে—এমন আহ্বান জানিয়েছেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার। তিনি বলেন, এই বিষয়ে ইমাম ও পুরোহিতদের মাধ্যমে ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে প্রচার বাড়াতে হবে। পাশাপাশি সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যমকর্মীসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে নিজেদের অবস্থান থেকে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে হবে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকালে নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে করোনা ও ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভাটি আয়োজন করে নড়াইল সদর উপজেলা প্রশাসন।
কমিশনার বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি জোর দিতে হবে এবং প্লাস্টিক বর্জনের মাধ্যমেই পরিবেশ রক্ষা সম্ভব। তিনি নড়াইল পৌরসভাকে অপরিকল্পিত আখ্যা দিয়ে বলেন, জলাবদ্ধতা ও নাগরিক সমস্যা সমাধানে নাগরিকদের সম্পৃক্ত করে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। নড়াইল জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক সংকট নিরসনেও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান। এতে আরও বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রশিদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও পৌরসভার প্রশাসক জুলিয়া শুকায়না, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস, এনপিপি জেলা সভাপতি শরীফ মুনীর হোসেন, জামায়াতে ইসলাম নড়াইলের আমীর মোঃ আতাউর রহমান বাচ্চু, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি ওয়াকিউজ্জামান, শিক্ষক নেতা সাখাওয়াত হোসেন, নড়াইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রশীদ লাবলু, সাংবাদিক আসাদ রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, করোনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সচেতনতামূলক ব্যানার-ফেস্টুন টানাতে হবে। সভায় ডেঙ্গু ও করোনা বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. ইসমাইল হোসেন বাপ্পী।
সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধান অতিথি সদ্য নির্মিত উপজেলা হলরুমের উদ্বোধন এবং উপজেলা চত্বরে গাছের চারা রোপণ করেন। পরে তিনি হাটবাড়িয়া জমিদার বাড়ি (ডিসি পার্ক) পরিদর্শন করেন।
খুলনা গেজেট/এসএস




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন