জাল সনদে চাকরি গ্রহণ, প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার দায়ে ঝিনাইদহে এক প্রধান শিক্ষককে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত রণি আক্তার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দুর্গাপুর নারায়নপুর পুটিয়া গ্রামের নরুল ইসলামের ছেলে এবং গোয়ালপাড়া অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন– সালেহা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক। ২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসরিন আক্তার তার বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরি ও বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
সরকারি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এএসএম রাকিবুল হাসান এবং আসামিপক্ষে ছিলেন তারিকুল ইসলাম।
মামলার সূত্রে জানা যায়, রণি আক্তার শিক্ষক নিবন্ধন ও বিএড সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এ সুযোগে তিনি নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিদ্যালয়ের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।
এজাহারে বলা হয়, ২০২২ সালের জুলাই মাসে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হওয়ার পর রণি আক্তার সরকারি বেতন-ভাতা পাওয়ার লক্ষ্যে শিক্ষক নিবন্ধন ও বিএড সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেন। যাচাই–বাছাই শেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাগজপত্রগুলো জাল প্রমাণিত হওয়ায় তার সরকারি বেতন-ভাতা বাতিল করা হয়।
২০২৪ সালের ৯ আগস্ট রণি আক্তার বিদ্যালয়ের আয়কৃত টাকা ও কাগজপত্র বুঝিয়ে না দিয়ে পালিয়ে আত্মগোপন করেন। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
খুলনা গেজেট/এএজে

