যশোরে ফেনসিডিলসহ আটক এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার(১৩ আগস্ট) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. সালেহুজ্জামান এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে মামলার অপর এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার হুমায়ুন কবীর।
সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আয়েশা খাতুন শহরের চাঁচড়া রেলগেট এলাকার দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী। এছাড়া খালাস পাওয়া শামসুল হক শার্শা উপজেলার কারিগরপাড়া গ্রামের মৃত নেছার উদ্দিনের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৬ জুন বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর আসে গোগো বাজার থেকে এক মহিলা ও একজন পুরুষ ফেনসিডিল নিয়ে ইজিবাইকে সাতমাইলের দিকে আসছে। এ সংবাদে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আয়েশা খাতুনকে আটক করে এবং শামসুল হক পালিয়ে যায়। পরে আয়েশার বোরকা পরিহিত অবস্থায় বিশেষ কায়দায় লুকানো ৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে ওই দুইজনের বিরুদ্ধে শার্শা থানায় মামলা করেন। ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই মামলাটি তদন্ত করে শার্শা থানার এসআই শেখ সুজাত আলী দুইজনের বিরুদ্ধেই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণার দিনে আয়েশার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া, শামসুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়। আয়েশা পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
খুলনা গেজেট/এএজে