যশোরে যুবদল ও ছাত্রদল নেতা বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলণ করেছেন শহরের বারান্দীপাড়া ঢাকারোড এলাকার জেসমিন বেগম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘তার চারটি ইজিবাইক রয়েছে, যা ভাড়া দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তার ব্যবসার দিকে নজর পড়ে ১ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি বারান্দীপাড়া বৌ বাজার এলাকার তারেক হাসান চুন্নার। কিছুদিন পর চুন্না জেসমিনের কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ টাকা না দেওয়ায় চুন্না ও তার সহযোগীরা বারবার জেসমিনকে হুমকি দিতে থাকে।
এ বছরের ৪ আগস্ট বিকেলে তারেক হাসান চুন্নাসহ তার সহযোগি জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, বিশাল, আকাশ, লাল্টু, সোহেল ওরফে চাকু সোহেল, শফিক, হাসান, সানু, মন্ডল, তুষার, আল আমিনসহ ১০-১২ জন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে জেসমিনের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় জেসমিনের ঘরে ঢুকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। না দেওয়ায় তাকে বেধড়ক মারধর করে এবং সানু ও লাল্টু জেসমিনের শ্লীলতাহানি ঘটায়। এ সময় চুন্না ঘর তল্লাশি করে জেসমিনের ব্যবসার ৫০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। জেসমিনের ২০ বছরের ছেলে রাকিব হাসানকে মারধর করে আহত করে এবং ১১ মাস বয়সী শিশুর গলায় চাকু ধরে অবশিষ্ট টাকা দিতে বলে। এক পর্যায়ে জেসমিনের পরিবারের সদস্যরা চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। তবে চুন্নাসহ কয়েকজনকে হাতে-নাতে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। পরে কিছু দুর্বৃত্ত এসে চাকুর ভয় দেখিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নেয়। কিছু সময় পর চুন্নার নেতৃত্বে আরও ৩০-৪০ জন আবার জেসমিনের বাড়িতে হাজির হয়। এসময় তারা ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে। পরে জেসমিন ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিলেও এখনো পর্যন্ত পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বাধ্য হয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলন করছেন বলে জানান। একই সাথে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেসমিনের ছেলে রাকিব, মেয়ে সাদিয়া, রুমা, মুরাদ। এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে অভিযুক্ত চুন্নার মোবাইলে চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
খুলনা গেজেট/এসএস