Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার । ৭ই আগস্ট, ২০২৫ । ২৩শে শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

কেশবপুরের পাঁজিয়া সড়ক নির্মাণ কাজের ধীর গতিতে চরম ভোগান্তি

কেশবপুর প্রতিনিধি

কেশবপুর-নেহালপুর ভায়া কাটাখালি সড়ক নির্মাণ কাজের ধীর গতিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পথচারীসহ স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ বরাদ্দ অর্থের সিংহভাগই লুটপাট ও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তাটি যেনতেন ভাবে নির্মান করা হচ্ছে। এতে এলাকাবাসি ও পথচারীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। বাধ্য হয়ে কেশবপুর পেীর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে স্থানীয়রা সড়কের বড় গর্তগুলোতে ইট দিয়ে চলাচলের উপযোগী করে দিয়েছেন। এছাড়া ১৫ কিলোমিটারের এ সড়কের কাটাখালি বাজারস্থ স্লুইস গেটটির ওপর দিয়ে চলাচলে অনুপযোগীর কারনে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এডিবি ও জিওবির অর্থায়নে কেশবপুর থেকে নেহালপুর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘের পিচের রাস্তা নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করা হয়। সড়কটি নির্মাণে ২০ কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৪২৯ টাকা চুক্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয়। কাজটি পান গোপালগঞ্জের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কামরুল এন্ড ব্রাদার্স। গত ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি নির্মাণ কাজ শুরু করেন ঠিকাদারী এ প্রতিষ্ঠান। সিডিউল অনুযায়ী চলতি বছরের গত ২৪ জুলাই সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

জানা গেছে, উপজেলার পূর্ব অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ তাদের জরুরী কাজ মেটাতে কেশবপুর-নেহালপুর সড়কটি যাতায়াতের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন। এ সড়কটি প্রাচীন কাল থেকেই যশোর জেলার কেশবপুর, অভয়নগর, বাঘারপাড়া উপজেলা, খুলনা জেলার ফুলতলা, ডুমুরিয়া উপজেলা, সাতক্ষীরা জেলার তালা ও কলারোয়া উপজেলার শত শত গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাতে এ রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করে থাকেন। সড়কটি হাজার হাজার মানুষের পথ চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্ধরিত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ না করায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের।

রবিবার (৩ আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কেশবপুর-নেহালপুর ভায়া কাটাখালি সড়কের কেশবপুর শহরের আরসিসি ঢালাই রাস্তা থেকে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের কোন কাজ করা হয়নি। সেখান থেকে কালাগাছি বাজার পর্যন্ত কার্পেটিং এর কাজ শেষ করা হলেও বাকী রাস্তার কার্পেটিং এর কাজ করা হয়নি। এদিকে, সড়কের কাটাখালি বাজারস্থ স্লুইস গেটটির ওপর দিয়ে চলাচলের একবারে অনুপযোগী। এ কারনে মালবাহী ভ্যানসহ কোনো ভারী যানবাহন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে পারছে না।

কলাগাছি বাজারের মুদি দোকানদার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বরাদ্দ অর্থের সিংহভাগই লুটপাট হয়েছে। কাটাখালি বাজারস্থ স্লুইস গেটটির ওপর দিয়ে চলাচলে একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ কারনে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে পথচারীদের দুর্ভোগ কমাতে নীচু জায়গা গুলিতে ইট দেওয়া হয়েছে।

কেশবপুর পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দুল হালিম বলেন, তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সহযোগীতায় সড়কটির বড় গর্তগুলোতে সাত ট্রাক ইট দিয়ে চলাচলের উপযোগী করে দিয়েছেন।

মেসার্স কামরুল এন্ড ব্রাদার্সের প্রধান সহযোগী আব্দুল খালেক বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে সড়কটির কয়েক জায়গায় পানি উঠেছিল। এ সব জায়গায় উচু করা হবে। এটা পাশ হলে বাকী নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী নাজিমুল হক বলেন, বন্যা হলে সড়কটির কেশবপুর শহরের আরসিসি ঢালাই রাস্তা থেকে ৩ কিলোমিটার পানিতে তলিয়ে যায়। এ ৩ কিলোমিটার সড়ক উচু করতে হবে। বিষয়টি অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে এ ৩ কিলোমিটার সড়কের কাজ শুরু করা হবে। এছাড়া বৃষ্টির কারনে কলাগাছি বাজার থেকে নেহালপুর পর্যন্ত কার্পেটিং এর কাজ বন্ধ রয়েছে। বৃষ্টি বন্ধ হলে এখানে কার্পেটিং এর কাজ আবার শুরু করা হবে।

খুলনা গেজেট/এসএস




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন