ভুক্তভোগী তরুণী শেল্টার হোমে

যশোরে বাসে ধর্ষণে প্রধান আসামির স্বীকারোক্তি

যশোর প্রতিনিধি

যশোরে বাসের মধ্যে তরুণী (২৫) ধর্ষণ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হেলপার মনিরুল ইসলাম মনির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। সে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছে আদালতে। এছাড়া ধর্ষণ চেষ্টা ও মারপিটের ঘটনায় আটক ৬ পরিবহন শ্রমিকের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। ভুক্তভোগী তরুণীকে একটি শেল্টার হোমে পাঠানো হয়েছে।

রাজশাহী জিপিও হাসপাতালের পরিছন্নতাকর্মী যশোরের বাঘাপাড়া উপজেলার বন্দবিলা মির্জাপুর গ্রামের এক তরুণী এমকে পরিবহনের বাসে (যশোর-ব-১১-০১২৪) শহরের খুলনাস্ট্যান্ড এলাকায় ধর্ষণের শিকার হন। বাসের হেলপার ঝিনাইদহের মহেশপুরের কাশিপুর পশ্চিমপাড়ার ওহিদুল ইসলামের ছেলে মনিরুল ইসলাম মনির বাসটি পার্কিং করে সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। একইরাতে মনিরুল ছাড়াও আরো ৬ বাস শ্রমিক চড়াও হয় নারীর উপর। তারা ধর্ষণের চেষ্টা চালায় ও তরুণীকে টানা হেঁচড়া করে কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। ধর্ষণে বাধা দেয়ায় তাকে বেধড়ক মারপিট করা হয়। এ খবর ওই রাতে থানায় পৌঁছালে পুলিশ ধর্ষক মনিরুলসহ চেষ্টাকারী ৬ জনকে আটক করে।

এরা হচ্ছেন যশোরের বারান্দী মোল্লাপাড়ার শফিকুল ইসলাম বাবুর ছেলে শাহিন আহমেদ জনি, সিটি কলেজপাড়ার রনজিতের ছেলে কৃষ্ণ বিশ্বাস, মৃত সমরের ছেলে শুভাশীষ সিংহ, বারন্দীপাড়ার জবেদুল ইসলাম জাবেদের ছেলে রাকিব ইসলাম রাকিব, কাজী আব্দুস সামাদের ছেলে কাজী মুকুল ও বেজপাড়ার গোলাম মাওলা ছেলে মাইনুল ইসলাম। শনিবার ধর্ষক মনিরুল ও চেষ্টাকারী ওই ৬ জনকে আদালতে চালান দেয়া হয়।

আদালতে প্রধান অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম মনির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। ঘটনায় সে নিজে জড়িত বলে স্বীকারসহ আরো নানা তথ্য দিয়েছে বলে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা। এছাড়া ভুক্তভোগী তরুণী কিছুটা সুস্থ হওয়ায় তাকে সদর উপজেলার ভেকুটিয়া গ্রামের একটি শেল্টার হোমে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার ইন্সেপেক্টর অপারেশন আবু হেনা মিলন জানান, ধর্ষক মনিরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা ও মারপিটের অভিযোগের ওই মামলায় তাদের রিমান্ড চাওয়া হবে। এছাড়া ওই তরুণীর ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন