বুধবার । ২৬শে নভেম্বর, ২০২৫ । ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

বাগেরহাটে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, হাসপাতালে ভর্তি ৪৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট

উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে নারী ও শিশুসহ নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৪৯ জন। এর মধ্যে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৩৬ জন, ফকিরহাটে ২ জন, মোংলায় ৪ জন, মোল্লাহাটে ২ জন, কচুয়ায় ১ জন, চিতলমারীতে ২ জন, মোরেলগঞ্জে ১ জন এবং শরণখোলায় ১ জন। এ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মাঝে বাড়ছে ডেঙ্গু আতঙ্ক। এর পাশাপাশি জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার মান নিয়েও অভিযোগ করছেন রোগী ও স্বজনরা।

বাগেরহাট ২৫০-শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একাধিক রোগী ও তাদের স্বজনরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, হাসপাতালে অপরিচ্ছন্নতার মাত্রা বেশি। বর্জ্য যেখানে-সেখানে ফেলে রাখা হচ্ছে, সন্ধ্যার পর বাড়ছে মশার উপদ্রব, যা রোগী ও স্বজনদের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাসপাতালের বাথরুমগুলো নোংরা এবং পুরো হাসপাতালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করছে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়ে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ অসীম কুমার বলেন, “ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সতর্কতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”

এদিকে, সরকারি ও বেসরকারি হিসাবে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি। বেসরকারি হিসাবে জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে এবং ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। তবে সরকারি হিসেবে গত ১১ মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৪১ জন, আর মৃত্যুর কোনো রেকর্ড নেই।

এ বিষয়ে বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডাঃ মাহবুবুল আলম বলেন, “সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হলেই সে তথ্য আমাদের কাছে আসে। বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা জেলার বাইরে চিকিৎসাধীন রোগীদের তথ্য আমাদের কাছে থাকে না। ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যুর কথা শুনেছি, তবে তারা কেউ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন না।”

অপরদিকে, বাগেরহাট পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় কিছু বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রম দেখা গেলেও তাদের কার্যকরী তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, ডেঙ্গু প্রতিরোধে গত ৩ মাস ধরে নিয়মিত মশক নিধন কর্মসূচি ও ফগার মেশিন দিয়ে স্প্রে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

বাগেরহাট পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা নাজবুল আলম বলেন, “ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চলমান রয়েছে এবং পৌরসভা নিজস্বভাবে এসব উদ্যোগ নিয়মিতভাবে বাস্তবায়ন করছে।”

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন