রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নের কৈগর্দ্দাসকাটি চর এলাকার অন্তত ৫০ টি বাড়িঘর জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। অমাবস্যা ও পূর্ণিমার গোনের সময় দিন-রাত দুই দফা জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ায় বাড়িঘর তলিয়ে গিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে এলাকার মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গৌরম্ভা ইউনিয়নের দুর্গম এই চরাঞ্চলে প্রায় ৬ থেকে ৭ শতাধিক মানুষের বসবাস। এর মধ্যে প্রায় ৫০টি পরিবারের বাড়ির চারপাশে কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী বা বেড়িবাঁধ না থাকায় অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে নিয়মিত প্লাবিত হচ্ছে। এতে ধান ও মাছ চাষ, গবাদিপশু পালন, রান্না করা ও বসবাস কঠিন হয়ে পড়েছে। শিশুদের পড়াশোনা ও স্কুলে যাতায়াতেও বিঘ্ন ঘটছে।
স্থানীয়রা জানান, জোয়ারের সময় রান্নার চুলা পর্যন্ত পানি উঠে যাওয়ায় খেয়ে না খেয়েই অনেক পরিবার দিন কাটাচ্ছেন। প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ফসলের মাঠের আমন ধানের চারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সুপেয় পানির ব্যবস্থা না থাকায় বাসিন্দাদের ৪ কিলোমিটার দূর থেকে পায়ে হেঁটে পানি আনতে হয়। কাছাকাছি কোনো টিউবওয়েল বা পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেই বলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করতে হচ্ছে। এলাকায় বিদ্যালয় না থাকায় শিশুদের স্কুলে যাতায়াতও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। অসুস্থ হলে চিকিৎসা নিতেও ভোগান্তি পোহাতে হয়। একমাত্র সরু চলাচলের পথটিও জোয়ারের পানিতে ডুবে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি চরভরাটি খাস জমিতে গড়ে ওঠা এ গ্রামে অধিকাংশ পরিবারই ভূমিহীন। প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা খাস জমি দখল করে মাছ ও ধান চাষ করছে। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে এভাবে হাজার হাজার একর খাস জমি দখল হয়ে যাচ্ছে।
তারা দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম