Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার । ৭ই আগস্ট, ২০২৫ । ২৩শে শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content
গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি

এই দিনে ফ্যাসিস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়েছে, রাহুমুক্ত হয়েছে দেশ: মঞ্জু

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ বছরের আন্দোলন সংগ্রামে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। দেশের মানুষ তাঁর বিচার চায়। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, যাঁরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ও যাঁরা সহযোগিতা করেছিলেন, তাঁদেরও বিচার করতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থান ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ১৬ বছরের প্রচেষ্টা। তাই, গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা ও অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন এখন সরকারের মৌলিক দায়িত্ব। এ দেশের মানুষ ভোটারাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিয়েছেন। ঠিক একবছর আগে ২০২৪ সালের এই দিনে ফ্যাসিস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়েছে। রাহুমুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। জনগণকে মুক্তি দিতে হলে নির্বাচিত সরকার দরকার। নির্বাচিত সরকার ছাড়া জনগণের মুক্তি কারও পক্ষে সম্ভব নয়। এই দেশ জনগণের কথায় চলবে।

বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর কেডিএ এভিনিউস্থ তেঁতুলতলা মোড়ে সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির কার্যালয় চত্বরে ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত, বৈষম্যহীন, মানবিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা বিএনপি আয়োজিত বিজয় মিছিলের আগে সমাবেশের সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন, খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা প্রিয়, গণতন্ত্র প্রিয় জনগণের জন্য দিনটি আনন্দের। দিনটি বিজয়ের। রাহুমুক্ত বাংলাদেশের এই দিনটিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাঁবেদারমুক্ত বাংলাদেশের জনগণ প্রতিবছর এই দিনটিকে স্বাধীনভাবে পালন করবে। হাজারো শহীদের রক্তস্নাত রাজপথে ফ্যাসিবাদ বিরোধী অভূতপূর্ব জাতীয় ঐক্য গড়ে ওঠেছে। বাংলাদেশে আর কখনোই ফ্যাসিবাদ কায়েম হবে না, কাউকে গণতন্ত্র হত্যা করার সুযোগ দেওয়া হবে না, বাংলাদেশকে আর কখনোই তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে দেওয়া হবে না। এজন্য সকল ভেদাভেদ ভুলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শক্তিকে জনগনের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। শপথ নিতে হবে ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত, বৈষম্যহীন, মানবিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার। সমাবেশ শেষে বিশাল বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল নজরুল ইসলাম মঞ্জু’র নেতৃত্বে নগরীর তেঁতুলতলা মোড় থেকে ময়লাপোতা, সাতরাস্তা, রয়েল চত্বর, ফেরীঘাট হয়ে ডাকবাংলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এসময় গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের ছবি সম্বলিত প্লাকার্ড, শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিশাল আকৃতি ছবি এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে মিছিল শুরু হয়।

সমাবেশের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত এবং আন্দোলনে নিহত ও মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দূর্ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করেন আলহাজ¦ মীর মোহাম্মদ বাবু। অনুষ্ঠানে আন্দোলনে আহত ও মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দূর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় দোয়া করা হয়।

অধ্যাপক অরিফুজ্জামান অপু ও আসাদুজ্জামান মুরাদের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, এড, ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মেহেদী হাসান দিপু, নিজাম উর রহমান লালু, এড. গোলাম মওলা, কামরান হাসান, শরিফুল ইসলাম বাবু, সুলতান মাহমুদ সুমন, ইকবাল হোসেন, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক ও আলমগীর হোসেন আলম।

সমাবেশ ও বিজয় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, ইকবাল হোসেন খোকন, আনোয়ার হোসেন, মহিবুজ্জামান কচি, ইউসুফ হারুন মজনু, মজিবর রহমান ফয়েজ, গিয়াস উদ্দিন বনি, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, কাজী শফিকুল ইসলাম শফি, রফিকুল ইসলাম শুকুর, শামসুজ্জামান চঞ্চল, শেখ জামিরুল ইসলাম জামিল, ইশহাক তালুকদার, শমসের আলী মিন্টু, হাসান মেহেদী রিজভী, আবু সালেক, আকরাম হোসেন খোকন, সরদার রবিউল ইসলাম রবি, তরিকুল্লাহ খান, কাজী মাহবুবুল হক, মোল্লা মুজিবর রহমান, ওমর ফারুক, রবিউল ইসলাম রবি, মেজবাহ উদ্দিন মিজু, মহিউদ্দিন টারজান, বাচ্চু মীর, এড. আবুল হোসেন হাওলাদার, মেহেদী হাসান সোহাগ, আব্দুল জব্বার জাহিদ কামাল টিটো, আসলাম হোসেন, নাসির খান, এড. মুজিবর রহমান, খায়রুল ইসলাম লাল, আব্দুল মতিন, হুমায়ুন কবির বাবলু, এড. আব্দুস সবুর, শামীম খান, মোস্তফা কামাল, জামাল মোড়ল, রিয়াজুর রহমান, আলমগীর ব্যাপারী, ইফতেখান নবীন, নুরুল ইসলাম লিটন, মিজানুজ্জামান তাজ, নাদি মোড়ল, শামীম আশরাফ, এড. ইমাম হোসেন, আল আমিন তালুকদার প্রিন্স, এড. এবিএম ওমর আলী, শরিফুল ইসলাম সাগর, মাজেদা খাতুন, মাসুদ খান বাদল, রাজিবুল আলম বাপ্পি, এরশাদ হোসেন, মোল্লা সোলাইমান হোসেন, মাহবুব হোসেন, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, সাখাওয়াত হোসেন, মাহমুদ হাসান মুন্না, মনিরুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মনির, মুন্সি আব্দুর রব, মুশফিকুর রহমান অভি, খান শহিদুল ইসলাম, শাকিল আহমেদ, সালাউদ্দিন সান্নু, আসাদ সানা, সেলিম বড় মিয়া, ফিরোজ আহমেদ, মারুফুর রহমান, তরিকুল আলম, মোস্তফা জামান মিন্টু, এমরান হোসেন, মাসুদ রেজা, নূরে আব্দুল্লাহ, গোলাম নবী ডালু, লিটু পাটোয়ারী, আবু তালেব, মিজানুর রহমানসহ থানা, ওয়ার্ড, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠণের হাজার হাজার নেতাকর্মি মিছিল সহকারে কর্মসুচিতে যোগ দেন।

খুলনা গেজেট/এসএস




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন