২০১১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীর্ঘ ১৫ বছরেও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (বাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। এই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে কবে এই নির্বাচন হবে এই প্রশ্ন এখন ববি শিক্ষার্থীদের মুখে মুখে।
শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাকসু গঠনের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করার লক্ষ্যে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। এই কমিটি গঠনের মাধ্যমে প্রশাসন প্রথম পদক্ষেপ নিলেও কমিটি কবে তাদের কাজ শেষ করবে বা কবে নাগাদ সংসদ গঠনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করা হয়নি।
ছাত্র সংসদকে ববি শিক্ষার্থীদের ‘প্রাণের দাবি’ হিসেবে উল্লেখ করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, “যতদ্রুত সম্ভব আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুক।”
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক নেতা মোশাররফ হোসেন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে খুব দ্রুত সময়ে বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে পারে। এ বিষয়ে আমরা শিক্ষার্থীরা তাদের যেকোনো সাহায্য করতে প্রস্তুত।”
বাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠান না হওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্র সংসদ বিষয়ক কোনো গঠনতন্ত্র না থাকাকে দায়ী করছে। গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, তাদের মূল কাজ হলো নির্বাচনের জন্য প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠনতন্ত্র বিশ্লেষণ করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের রূপরেখা তৈরি করা। কমিটির সদস্য সহকারী অধ্যাপক ফরহাদ উদ্দিন জাভেদ বলেন, “আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের আইন সংগ্রহ করছি। ইতিমধ্যে সেগুলো বিশ্লেষণ করা শুরু করে দিয়েছি। তবে এই কাজ কবে শেষ হবে, সে বিষয়ে এখনই সঠিক সময় বলা যাচ্ছে না।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ মুহসিন উদ্দিন নিশ্চিত করেন যে বাকসু গঠনের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং ‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বিষয়ক কোনো আইন নাই। রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে কাজ শুরু হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. তৌফিক আলম জানান, “বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নিয়ে আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। অলরেডি এ বিষয়ে একটা কমিটি করা হয়েছে।”
তবে কবে নাগাদ নির্বাচন কার্যক্রম শুরু হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আবারও আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, “যেহেতু আমাদের এই বিষয়ে কোনো আইন নাই। আইন প্রণয়ন করতে সময় লাগবে। এই মুহূর্তে সঠিক সময়টা বলা যাচ্ছে না।”
খুলনা গেজেট/এনএম

