মঙ্গলবার । ৪ঠা নভেম্বর, ২০২৫ । ১৯শে কার্তিক, ১৪৩২
‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিচালনা কমিটির প্রয়োজন নেই’

সরকারে গেলে শিক্ষাক্ষেত্রে সকল বৈষম্য ও অব্যবস্থা দূর করা হবে : মিলন

গেজেট প্রতিবেদন

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম আহছানুল হক মিলন বলেছেন, যদি জনগণের সমর্থন নিয়ে আমরা সরকার গঠন করতে পারি তবে শিক্ষাক্ষেত্রে সকল বৈষম্য ও অব্যবস্থা দূর করা হবে। ৩১ তম বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি ও অধ্যক্ষ পরিষদের এক আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করছিলেন। শনিবার সকালে ‘দৈনিক শিক্ষা ডটকম’ পত্রিকার সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন যেহেতু আদর্শ শিক্ষকগণ সমাজের শ্রেষ্ঠ সন্তান তাই তাঁদের প্রাপ্ত মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষকদেরও গবেষণাধর্মী , সৃষ্টিশীল এবং শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞান বিতরণে নিবেদিতপ্রাণ হওয়ার অঙ্গীকার গ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ ইসহাক হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূখ্য আলোচক ছিলেন প্রবীণ শিক্ষক নেতা বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি প্রফেসর মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নান।

বাকশিস ভারপ্রাপ্ত মহাসম্পাদক অধ্যাপক ইলিম মোহাম্মদ নাজমুল হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান হাওলাদার, অধ্যক্ষ রেজাউল কবির, অধ্যক্ষ সাহিদুন নাহার, অধ্যাপক সৈয়দ মুহাম্মদ ইউসুফ, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন মন্ডল, অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন আজম, উপাধ্যক্ষ লিয়াকত আলী , অধ্যক্ষ হোসনে জাহান, অধ্যক্ষ রাফিকা আফরোজ, অধ্যক্ষ এম এ মোনায়েম, অধ্যক্ষ শামীমা ইয়াসমিন, অধ্যক্ষ রোজিনা ইয়াসমিন, অধ্যক্ষ নিয়ামুল কবির বাবু, অধ্যাপক আমজাদ হোসেন বুলবুল, অধ্যাপক নাজির আহমদ খান, অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক শাহ আলম, অধ্যাপক মোঃ শহীদুল্লাহ, অধ্যাপক ফরিদা ইয়াসমিন, অধ্যাপক আল মামুন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

মুখ্য আলোচক প্রবীণ শিক্ষক নেতা প্রফেসর মোঃ মাজহারুল হান্নান বলেন, বিশ্ব শিক্ষক দিবস শিক্ষক সমাজের আত্ম সমালোচনার দিন । এ দিনে শিক্ষকতা জীবনের সকল অর্জন ও ব্যর্থতার সমীক্ষা করতে হবে। তিনি বিশ্ব শিক্ষক দিবসের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেন এবং শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণের দাবি জানান।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু সরকার বেসরকারী শিক্ষকদের শতভাগ বেতন ও অন্যান্য ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে প্রদান করেন সে কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন পরিচালনা কমিটির প্রয়োজন নেই। যে নিয়মে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হয় সেভাবেই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার উপর গুরুত্বারোপ করেন ।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের অব্যবস্থাপনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে সকল শিক্ষক কর্মচারী ইতিমধ্যে অবসর গ্রহণ করেছেন তাঁদের প্রাপ্য টাকা অবিলম্বে পরিশোধের ব্যবস্থা করতে হবে।

অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের অবিলম্বে এমপিও ভুক্তির দাবি, অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার বিষয়ে ২১ সালের কালা কানুন বাতিল, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি সহ বিভিন্ন দাবির কথা উল্লেখ করেন।

আলোচনা সভায় শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের তহবিল হতে যে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে তার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত আনার জোর দাবি জানান।

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন