বৃহস্পতিবার । ২রা অক্টোবর, ২০২৫ । ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩২

ববি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নৌবাহিনীর সঙ্গে হাতাহাতি, ক্ষমা চেয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ

ববি প্রতিনিধি

অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ তিন দফা দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করলে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির সমর্থনে মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় নৌবাহিনীর তিনটি গাড়ি উল্টো পথে এসে জরুরি পথ দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা বাধা দেয়। এতে নৌবাহিনীর সদস্য ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে নৌবাহিনীর সদস্যরা শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তোলেন।

এক পর্যায়ে সংঘর্ষের পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নৌবাহিনীর তিনটি গাড়ি আটক করে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে নৌবাহিনী ক্ষমা চাইলে সন্ধ্যা সন্ধ্যা ৬টায় ছেড়ে দেন।

নৌবাহিনীর মারধরের শিকার ভূত্বত্ত ও খনি বিদ্যাবিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব মিয়া বলেন, ” আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে শান্তিপূর্ণ সড়ক অবরোধ করছিলাম। তখন নৌবাহিনীর তিনটি গাড়ি উল্টো পথে এসে জরুরী পথও আটকে দেয়। তখন বাঁধা দিলে তারা আমার গায়ে হাত তোলে এবং আমাকে গলা চেপে ধরে টেনে হিছড়ে নিয়ে যায়

হামলার শিকার আরেক শিক্ষার্থী মোশারফ বলেন, “আমরা জনদুর্ভোগ চাই না, কিন্তু আজকের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন যারা অশান্ত করেছে, তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন থামাবো না।”

এবিষয়ে উপস্থিত নৌবাহিনীর এলএসজিআই বাচ্চু বলেন, “আজকে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমরা সবসময় আপনাদের সাহায্যের জন্য আছি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে নৌবাহিনীর গাড়ি যাওয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সাথে একটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিলো। পরে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছেন। বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে সমাধান করা হয়েছে৷

খুলনা গেজেট/এসএস




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন