Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার । ৭ই আগস্ট, ২০২৫ । ২৩শে শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

গোবিপ্রবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপন

গোবিপ্রবি প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক শিক্ষার্থীদের রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, মসজিদে দোয়া মাহফিল ও মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩:৩০টায় একাডেমিক ভবনের ৫০১ নং কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসান ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজীব।

সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, বর্তমান প্রশাসন জুলাই বিপ্লবের ফসল। আমাদের অনেক সফলতা ও ব্যর্থতা রয়েছে। তবে ব্যর্থতাগুলো পূর্বের দুই প্রশাসনের অসহনীয় মাত্রার দুর্নীতির কারণে। কেননা তাদের ধারাবাহিক অনিয়ম দুর্নীতির কারণে আমরা গত ৯ মাসে কোনো উন্নয়ন বাজেট পাইনি। আশা করছি শীঘ্রই সেটা পেয়ে যাবো। একই সঙ্গে যারা দুর্নীতির সহযোগী ছিলো, যারা জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে, অবশ্যই তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। আমরা যতোদিন দায়িত্ব পালন করবো, এই বিশ্ববিদ্যালয় কোনো মানি মেকিং মেশিন হবে না। নিয়োগ থেকে প্রমোশন, সবকিছু পরিচ্ছন্নভাবে করা হবে।

এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসান বলেন, এতো রক্তের বিনিময়ে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি, তা উদযাপনে এখানে কোনো আনন্দ দেখা যাচ্ছে না। বিজয়ের হাসি দেখা যাচ্ছে না। অথচ শহিদদের স্বপ্ন আমাদের মাঝে বেঁচে আছে। তাই চেতনা ব্যবসা না করে আমাদের বিবেক জাগ্রত করতে হবে। কেননা আমরা কিছু মুখের পরিবর্তন দেখতে পেলেও সিস্টেমের পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি না। কিন্তু আমরা যে সুযোগ পেয়েছি, তা পরিবর্তনের, অনিয়ম দূর করার। তাই আমাদের একত্রিত থেকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত ১১৪টি লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য কবর থেকে তোলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ এখনো অনেকে জানেই না, তার বাবা কোথায়, ভাই কোথায়! যাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এই ৩৬ জুলাই। এমন নৃশংস অন্যায়, অত্যাচার সহ্য করে ছাত্র জনতা ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিদায় করেছে। ১৬ বছরের অপশাসনের পরাজয় ঘটেছে। তাই জোর দিয়ে বলছি, এই গোপালগঞ্জের মাটিতেও তাদের কবর হবে না।

সভায় আরো বক্তৃতা করেন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ড. মো. আব্দুল্লাহ আল আসাদ, পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি ড. মোহাম্মদ কামাল হোসেন, গণিত বিভাগের সভাপতি ড. মুহম্মদ মিনারুল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান ভূঁইয়া, শেখ রাসেল হলের প্রাধ্যক্ষ মো. নাছির উদ্দিন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আবু সালেহ, আইসিটি সেলের সহকারী প্রোগ্রামার মো. মাহমুদুল ইসলাম,কৃষি বিভাগের জসীম উদ্দিন, হিসাববিজ্ঞানের আল মাহমুদ, মনোবিজ্ঞানের ফারিহা নওরীন ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী বোরহান শেখ।

এর আগে জুলাই শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা শুরু করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় সভাপতি ও প্রাধ্যক্ষগণ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক, দপ্তর প্রধানগণ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও বাদ যোহর জুলাই শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল ও বিকেলে মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

খুলনা গেজেট/এসএস




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন