গত ৪ জুলাই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৫তম স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা দিবসের ছুটি ও উৎসবের আমেজের মধ্যেই দেশজুড়ে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫০ জন।
চারশোর বেশি গোলাগুলির ঘটনায় তারা নিহত হন। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (৬ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গত শুক্রবার থেকে রোববার স্বাধীনতা দিবসের দিন পর্যন্ত এই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশজুড়ে এই গোলাগুলি ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। অবশ্য মঙ্গলবার ১৫০ জন নিহতের কথা জানানো হলেও এখন পর্যন্ত এই তালিকাটি সম্পূর্ণ হয়নি এবং এটা এখনও হালনাগাদের কাজ চলছে বলে জানানো হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বন্দুক হামলা ও গোলাগুলির ঘটনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
নিউইয়র্কে বন্দুক সহিংসতার ঘটনা অন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত সেখানে ২১টি গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে মোট হতাহতের সংখ্যা ২৬ জন।
অবশ্য গত বছরের এই একই সময়ে তুলনায় হামলার সংখ্যা কিছুটা কমেছে। নিউইয়র্কের পুলিশ বিভাগ বলছে, ২০২০ সালের এই সময়ে নিউইয়র্কে ২৫টি গোলাগুলির ঘটনায় ৩০ জন হতাহত হয়েছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের দিন অর্থাৎ গত রোববার নিউইয়র্কে ১২টি গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে এবং এতে ১৩ জন হতাহত হয়েছেন। গত বছরের এই দিনে ৮টি গোলাগুলির ঘটনার শিকার হয়েছিলেন ৮ জন।
২০২০ সালের প্রথম ৬ মাসের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে নিউইয়র্কে বন্দুক সহিংসতার ঘটনা ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর এই সময়ে গোলাগুলির ঘটনায় ৭৬৭ জন হতাহত হলেও এই বছর সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮৫ জনে।
গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত গোলাগুলিতে নিহতের কথা জানাতে ভুক্তভোগী বা তাদের পরিবারকে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ করেছে সিএনএন।
শিকাগোর পুলিশ প্রধান ডেভিড ব্রাউন গত সপ্তাহকে পুলিশের জন্য ‘বছরের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। এরপরই সেখানে ৮৩ জন বন্দুক হামলার শিকার হয় এবং তাদের মধ্যে ১৪ জন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬ টার মধ্যে এসব গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। নিহত ওই ১৪ জনের মধ্যে ইলিনয়িস আর্মি ন্যাশনাল গার্ডের একজন সদস্যও রয়েছেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই