বাগেরহাটের শরণখোলায় শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির হ্যাক করা টাকা তুলতে গিয়ে আনোয়ার সর্দার (৬৬) নামে এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি উপজেলার মাছের খালপাড়ের রফিকুল সর্দারের পুত্র। শুক্রবার (২ জুলাই) দুপুর ১২ টায় ওই গ্রামের এক নগদ উদ্যোক্তার দোকান থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শহিন জানান, আন্তদেশীয় একটি হ্যাকার চক্র বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। ওই চক্রটি উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামের এক নগদ উদ্যোক্তার দোকান থেকে প্রথমে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। দ্বিতীয়বারে আবার টাকা তুলতে আসলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সাথে নিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নগদ উদ্যোগক্তা তাপস চন্দ্র হালদার জানান, গেল জুন মাসের ১৫ ও ১৬ তারিখ গ্রেপ্তারকৃত আনোয়ার সর্দারের পুত্র শাহবুদ্দিন (২২) একশত ৭৭টি নগদ হিসাব থেকে নয়শত টাকা করে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা তুলে নিয়ে যান। এরপর নড়াইল, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আমার মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে তাদের উপ-বৃত্তির টাকা উত্তোলন করা হলো কিভাবে জানতে চায়। বিষয়টি আমার সন্ধেহ হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাই।
এরপর ৩০ জুন পুনরায় শাহাবুদ্দিন ০১৭৮০১৩৬৫৯৮ ও ০১৩২৩৬৩২৪৫৬ নম্বর থেকে ফোন করে ৯৬ টি হিসাবে থেকে ৮৭ হাজার সাতশত টাকা তুলে নিতে তার পিতা আনোয়ার সর্দারকে পাঠান। এসময় তাকে টাকা না দিয়ে শুক্রবার আসতে বলি এবং গোপনে ইউএওকে আবারও জানাই। এরপর টাকা নিতে আসলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আনোয়ার সর্দার বলেন, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার দেওড়া গ্রামের শাহাবুদ্দিন হাওলাদারের পুত্র তার জামাই কামাল হাওলাদার (৩০) হ্যাকার চক্রের সাথে জরিত থাকতে পারে। তবে তার ছেলে শাহাবুদ্দিন মোবাইলে ফোন করে নগদ উদ্যোক্তার দোকানে গিয়ে ৮৬ হাজার সাতশত টাকা তুলে আবার তা বিকাশ করতে বললে আমি সেই টাকা তুলতে আসি।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইদুর রহমান জানান, এ ব্যপারে শরনখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল হোতাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হবে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি