যশোরের চৌগাছা পৌর এলাকা লকডাউনের দ্বিতীয় দিন ছিল অনেকটাই জনশুন্য। একদিকে চলছে লকডাউন অন্যদিকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি যার কারনে অনেকেই ঘরের বাইরে আসেনি। তবে লকডাউনের ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বেশ বিপাকে পড়েছেন।
চৌগাছা উপজেলা ও পৌরসভাতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় পৌর এলাকাতে শুক্রবার থেকে ৭ দিনের লকডাউন ঘোষনা করেন প্রশাসন। লকডাউনের দ্বিতীয় দিন পৌর সদর বলাচলে অনেকটাই জনশুন্য হয়ে পড়ে।
একদিকে লকডাউন অন্যদিকে আষাঢ়ে বৃষ্টি, তাই অতি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হয়নি। যারা বের হয়েছেন তাদেরকে প্রশাসনের নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে। এদিনও পৌর সদরে প্রবেশের সকল মুখে পুলিশি পাহারা জোরদার করা হয়। বিনা কারনে কাউকে বাজারে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে গোটা পৌর এলাকাতে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। যেখানে কোন অনিয়ম দেখেছেন সেখানেই তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন।
তবে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেই অনেকটাই অসহায় হয়ে পড়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। বাজারের অসংখ্য ব্যবসায়ী আছেন যারা সারা দিনে যা রোজগার করেন তাই দিয়ে ওই দিনের সংসার চলে। আর রোজগার না হলে পড়তে হয় সমস্যায়।
শারীরীক প্রতিবন্ধি এক চা বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমি চুরি করে মাঝে মাঝে ঘর খুলছি, যখনই পুলিশ দেখছি আবার বন্ধ করে দিচ্ছি, কোন উপায় না থাকার কারনে এই চোর পুলিশ খেলা করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ এনামুল হক বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং নিজের ও পরিবারের কথা বিবেচনা করে সকলেই ঘরে থাকি। লকডাউনের এই সময়ে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না আসায় ভাল। যারা আইনকে অমান্য করবে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।