সাতক্ষীরায় দ্বিতীয় দফায় সাত দিনের লকডাউনের ৫ম দিনে করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা কমেছে। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারের লোকজন স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করায় জেলায় কোনভাবেই সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। সর্বশেষ ফলাফলে গত ২৪ ঘন্টায় ১৮৬ জনের শরীরে নমুনা পরীক্ষায় ৮৮ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যা পরীক্ষা বিবেচনায় হার ৪৭ দশমিক ৩১ শতাংশ।
এনিয়ে জেলায় ১৬ জুন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৬শ ৯৯জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৭শ’ ৭০ জন। বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলায় করোনা পজেটিভ রোগীর সংখ্যা ৭শ ৪১ জন। এসব রোগীর মধ্যে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে ১৬৫ জন। এদের মধ্যে ২৪ জনের করোনা পজেটিভ। সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে ২০ জন। এর মধ্যে ৯ জন পজেটিভ। সাতক্ষীরার বেসরকারি হাসপাতাল সমূহে ভর্তি ১২৯ জনের মধ্যে ১০ জন পজেটিভ। আর বাকিরা তাদের নিজ বাড়ি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে জেলায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ২শ ৫২ জন। তবে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫৫ জন মারা গেছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন।
অপরদিকে, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ঘোষিত দ্বিতীয় দফা লকডাউনের ৫ম দিনে বুধবার (১৬) জুন রাস্তাঘাটে লোকজনের চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক। মানুষ যেন কিছুতেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে চাচ্ছেন না। হাটে বাজারে এমনকি হাসপাতাল-ক্লিনিকেও কেউ সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাচল করছেন না।
তবে, শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন ও মানুষ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শহরের দোকানপাট অধিকাংশ বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন।
এদিকে, জেলা শহর ও গ্রাম অঞ্চলে ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভুগছেন অধিকাংশ মানুষ। জেলার একমাত্র করোনা ডেডিকেটেড সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫০ টি বেড থাকলেও সেখানে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছে ১৬৫ জন। বেড না পেয়ে অনেকেই সেখান থেকে অন্যত্র গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন শাফায়াত জানান, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে করোনা চিকিৎসার জন্য দেড়’শ বেড রয়েছে। কিন্তু রোগী রয়েছে ১৬৫ জন। দুই এক দিনের মধ্যেই ২০০ বেড করা হবে। এছাড়া সদর হাসপাতালে নতুন করে আর কোন করোনা রুগী ভর্তি করা হবেনা। যারা বর্তমানে ভর্তি রয়েছে তাদের চিকিৎসা সেবা শেষ হলে ছেড়ে দেয়া হবে। তিনি এ সময় জেলাবাসীর কাছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান।
খুলনা গেজেট/ এস আই