করোনা সংক্রমণরোধে সাতক্ষীরায় চলছে পঞ্চম দিনের মত লকডাউন। কিন্তু কোন ভাবেই জেলায় করোনা সংক্রমণের হার কমানো যাচ্ছে না। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যহত রয়েছে।
সর্বশেষ প্রাপ্ত ফলাফলে গত ২৪ ঘন্টায় সামেক হাসপাতলের আরটি পিসিআর ল্যাবে ১৮২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০৮ জনের শরীরে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় হার ৫৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
এমন পরিস্থিতিতে করোনার লাগাম টানতে প্রশাসনকে কিছুটা কঠোর হতে দেখা গেছে। মোড়ে মোড়ে চলছে তল্লাশী। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশি চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
তবে গত দিনের তুলনায় বুধবার শহরে জনসমাগম বেশী লক্ষ্য করা গেছে। স্বাস্থ্য বিধি মানতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরে চলছে মাইকিং। বন্ধ রয়েছে দুরপাল্লার বাসসহ সকল ধরনের গণপরিবহন।
করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধির মধ্যেও শহর ও গ্রামাঞ্চলে অবাধে মানুষ যাতায়াত করছেন। তারা কোন ভাবেই মানছেন না স্বাস্থবিধি। ভোমরা স্থলবন্দরেও সীমিত পরিসরে চলছে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম।
তবে ভারতীয় চালক ও হেলপাররা যাতে খোলামেলা ঘুরে বেড়াতে না পারেন সে জন্য পুলিশ ও বিজিবির নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া লকডাউনের মধ্যে দোকানপাট খোলা রাখা, স্বাস্থ্যবিধি না মানাসহ বিভিন্ন অপরাধে জেলার বিভিন্ন স্থানে চলছে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় লকডাউন চলা অবস্থায় গত ২৪ ঘন্টায় ১৮২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০৮ জনের শরীরে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় হার ৫৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। জেলায় একদিনে এটি করোনা সংক্রমণের সর্বোচ্চ হার। তবে এদিন করোনা সংক্রমণের সংখ্যা সীমান্ত উপজেলা কলারোয়ায় সব চেয়ে বেশী। এনিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৯৭ জন।
এদিকে, করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরো ৪ জন মারা গেছেন। এনিয়ে জেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন কমপক্ষে ২৩৬ জন। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন অর্ধ শতাধিক।
খুলনা গেজেট/ এস আই