সাতক্ষীরায় যৌতুকের দাবিতে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধুকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার পর গলায় ওড়না জড়িয়ে আত্মহত্যার প্রচার দেওয়ার অভিযোগে স্বামীসহ ছয়জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। খুলনার কয়রা উপজেলার বেদকাশি গ্রামের মোকছেদ শেখ বাদি হয়ে সোমবার (৩১ মে) সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক গোলাম আযম তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পাতাখালি গ্রামের মোস্তফা গাজীর ছেলে মারুফ বিল্লাহ, মুনসুর গাজীর ছেলে মোস্তফা গাজী, তার স্ত্রী ফরিদা পারভিন, জিএম মহিবুল্লাহ, কয়রা উপজেলার বেদকাশি গ্রামের বাচ্চু ঢালী ও তার স্ত্রী আলেয়া বেগম।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দু’ বছর আগে খুলনার কয়রা উপজেলার বেদকাশি গ্রামের মোকছেদ শেখের মেয়ে সাদিয়া খাতুনের সঙ্গে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পাতাখালি গ্রামের মোস্তফা গাজীর ছেলে মারুফ বিল্লাহর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে এক লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মারুফ বিল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যরা সাদিয়াকে নির্যাতন করতো। সাদিয়া বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা ছিল।
গত ১৫ মে বিকেল ৬টার দিকে সাদিয়া বাপের বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করায় কাঠ ও বাঁশের লাঠি দিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার পর লাশের গলায় ওড়না পেচিয়ে রান্না ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যার প্রচার দেওয়া হয়। পরদিন খবর পেয়ে মেয়ের লাশ দেখার পর থানায় এজাহার দিলে জিএম মহিবুল্লাহ এ ঘটনায় থানায় ৮নং অপমৃত্যু মামলা করেছেন বলে নতুন করে মামলা নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন। থানা মামলা না নেওয়ায় আদালতে মামলা করা হয়।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. অসীম কুমার মণ্ডল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই