হঠাৎ করেই করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরায়। হাসপাতালগুলোতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে৷ এভাবে চলতে থাকলে খুব শিঘ্রই আইসিইউ শয্যার সংকট দেখা দিতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷ জেলার করোনা সংক্রমণে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরাও। শনিবার সর্বশেষ জেলায় মোট করোনা টেস্টের ৫২শতাংশ ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
ঈদ পরবর্তী জেলায় করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে সবার। রবিবার (৩০ মে) সাতক্ষীরা জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় নেওয়া হতে পারে লকডাউনের সিদ্ধান্ত। আর তেমন-ই আভাষ দিয়েছেন সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. মোঃ হুসাইন শাফায়াত।
জেলার করোনার সর্বশেষ তথ্য জানতে শনিবার সন্ধ্যায় সিভিল সার্জন ডা. মোঃ হুসাইন শাফায়াতের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় ৬৬ জন ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর ভিতরে ২৪ জন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৬৬ জন। তবে করোনা আক্রান্ত ও করোনা সন্দেহে সাতক্ষীরা মেডেকেল কলেজের করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছে ১০৮জন। এর মধ্যে ৪৯জন ব্যক্তি করোনা পজেটিভ। আইসিইউতে রয়েছে ৪জন। এছাড়াও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত ও করোনা সন্দেহে ভর্তি রয়েছে ৭জন ব্যক্তি। অনেকে আবার জেলার বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করছেন বলে জানান তিনি।
করোনার উর্দ্ধমূখী প্রবণতা কমাতে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের মতো সাতক্ষীরাতেও লকডাউন দেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে লকডাউনের পক্ষে। রবিবার (৩০ মে) সাতক্ষীরা জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।
এসময় তিনি আরো বলেন, ঈদের আগে জেলায় করোনার সংক্রমণের হার ছিলো ১৩ শতাংশ। তবে ঈদ পরবর্তী করোনার সংক্রমণের হার ১৭ শতাংশ বেড়ে যেয়ে ৩০ শতাংশ হয়েছে। তবে সম্প্রতি কিছুদিন ধরে মোট নমুনা গ্রহণের ৫০ শতাংশেরও বেশি রিপোর্ট করোনা পজেটিভ এসেছে। করোনার এই উর্দ্ধমূখী প্রবণতা কমাতে সাতক্ষীরাকে লকডাউন করার পাশাপাশি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালকে ‘করোনা ডেডিকেটেড’ হাসপাতালে রুপান্তর করার কথা ভাবা হচ্ছে। পাশাপাশি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের করোনার ইউনিটের বেড (সীট) বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি