সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে পালিয়ে আসা এক নারীকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে বিজিবি। বৃহস্পতিবার বেলা ২ টার দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্তের মেইন পিলার ১৩ এর সাব পিলার ৩ ও রেফারেন্স পিলার ৫ এর কাছে অনুষ্ঠিত এক পতাকা বৈঠকের পর ওই নারীকে বিএসএফের কাছে ফেরত দেয়া হয়।
পতাকা বৈঠকে ৬ সদস্যের বিজিবি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের কাঁকডাঙ্গা বিওপির কমান্ডার আ ফ ম ওসমানী। অপরদিকে সমসংখ্যক বিএসএফ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ভারতের তারালী বিএসএফ ক্যাম্পের কমান্ডার রিশি মিশারা।
বিজিবি সূত্র জানায়, ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার স্বরুপনগর থানার তারালী গ্রামের মৃত জালাল সরদারের মেয়ে দুই সন্তানের জননী মোছাঃ খাদিজা খাতুন (২৪) ফেসবুকের মাধ্যমে বাংলাদেশের যশোর জেলার শার্শা উপজেলার চালতিবাড়ীয়ার দিঘার সোনাতনকাটি গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে মাহাবুবুর রহমানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রেমের টানে স্বামী ও দুই ছেলেকে ফেলে রেখে গত ২ মে ভারত থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে খাদিজা। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী তারালী পুলিশ ক্যাম্পে একটি সাধারণ ডায়েরি করে।
এ খবর জানতে পেরে বাংলাদেশের জাস্টিস কেয়ার নামে একটি সংস্থা পালিয়ে আসা ওই নারীর সন্ধান শুরু করে। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর করে তারা জানতে পারেন যে, যাশোরের শার্শা উপজেলার চালতিবাড়ীয়ার দিঘার সোনাতনকাটি গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে মাহাবুবুর রহমানের বাড়িতে আছে ওই নারী। পরে ওই নারী তার ভুল বুঝতে পেরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বকুলের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। একপর্যায় সেখান থেকে সে কলারোয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এসময় কলারোয়া উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের গাড়াখালী গ্রামের ইউপি সদস্য ইয়ার আলী জানতে পেরে বিজিবির জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, কলারোয়া থানা পুলিশ, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে বৃহস্পতিবার বেলা ২ টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফ এর পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই নারীকে ফেরত দেয়া হয়।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন-কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ভুট্টোলাল গাইন, ইউপি সদস্য ইয়ার আলী, বাংলাদেশে জাস্টিস কেয়ারের প্রতিনিধি এবিএম মহিদ হোসেন, জেলা মানবপাচার প্রতিরোধ কমিটির প্রতিনিধি সাকিব প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এনএম