সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের খোলপেটুয়া নদীর চরভরাটি জমিতে বসবাসকারি দুই নারীর বাড়িতে কওমী মাদ্রাসার ছাত্রসহ গ্রামবাসিদের হামলা, ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে তেতুলিয়া গ্রামের আবু হাসানের স্ত্রী নির্যাতিত রোজিনা খাতুন বাদি হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২২ জনকে আসামী করে এজাহার দায়ের করেন।
জানা যায়, ঘরের চালে ঢিল ছোড়ার অভিযোগে শুক্রবার ভোরে তেতুলিয়া হামিইউছুনুর কওমি মাদ্রাসার ছাত্র নজরুল ইসলামকে ডেকে নিয়ে বাড়িতে আটক রেখে তার কাছে টাকা দাবি করা হয়। টাকা না পেয়ে তার শরীরে আলকাতরা মাখিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগে একই গ্রামের রুবেলের নেতৃত্বে মাদ্রাসার ছাত্রসহ কয়েকশ’ এলাকাবাসী কোহিনুর বেগম ও তার মেয়ে রোজিনার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা তাদের বাড়ি, একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পোল্ট্রি ফার্ম ভাংচুর ও লুটপাট করে।
শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দুপুুর ১২টা পর্যন্ত সেখানে এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ হামলায় তাদের ছয়জনসহ মোট ১০ জন আহত হয়। এসময় লুটপাট করা হয় নগদ টাকা ও সোনার গহনাসহ প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল। পরে আশাশুনি থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে পুলিশ আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় তেতুলিয়া গ্রামের আবু হাসানের স্ত্রী রোজিনা খাতুন বাদি হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২২ জনের বিরুদ্ধে শনিবার দুপুরে থানায় একটি এজাহার জমা দিয়েছেন।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। দ্রুত এটির কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনা গেজেটে/এনএম